কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী বিকল্পের কোনও জায়গা নেই। সাফ জানিয়ে দিলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। মঙ্গলবার তিনি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বাসভবনে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন । তারপরে সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান তিনি।
বাংলার বাইরে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে ভিন রাজ্যে আগে পা রেখেছিল তৃণমূল। কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী জোটের নিজেদের প্রধান ভূমিকায় দেখতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ইউপিএ কই? তিনি সম্ভবত আশা করেছিলেন, বর্তমান দেশীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের অবস্থানের প্রেক্ষিতে এই প্রশ্নে তিনি সমর্থন পাবেন। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টোটা হয়।
তিনি দিল্লি- মুম্বাই যান। তিনি সঞ্জয় রাউত, আদিত্য ঠাকরে, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। বরং দেশীয় রাজনীতির প্রত্যেক নেতা জানিয়েছেন, বিরোধী বিকল্প জোট কংগ্রেস ছাড়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সাহায্যেই সরকার চালাচ্ছে শিবসেনা। প্রাথমিক ভাবে শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়তে রাজি ছিল না কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপিকে ঠেকাতে সেই জোট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন শরদ পাওয়ার। শিবসেনার সমর্থন পেলে মমতার হয়তো সুবিধাই হত। কিন্তু রাজনৈতিক সমীকরণে শিবসেনা বুঝতে পেরেছে যে, একা মমতার পক্ষে বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়।
এদিন সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে একটাই বিরোধী ফ্রন্ট থাকবে। কংগ্রেস ছাড়া সেই বিরোধী ফ্রন্ট সম্ভব নয়। দুই-তিনটি ফ্রন্ট করে লাভ কী? এতে বিজেপিই লাভবান হবে।’ পাশাপাশি কংগ্রেসে ও তৃণমূলের সম্পর্কের ফাটল মেরামতিতে শরদ পাওয়ার বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
আগামী লোকসভা ভোটে সম্ভাব্য বিরোধী জোটে নেতৃত্ব কে দেবেন? সেই প্রসঙ্গে সঞ্জয় বলেন, ‘আমি রাহুল গান্ধীকে জোটের নেতৃত্ব দিতে বলেছি।’ তবে এব্যাপারে বিরোধী জোটের দলগুলিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন