মহারাষ্ট্রের মুম্বই উত্তর-পশ্চিম আসনে মাত্র ৪৮ ভোটে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে)-কে হারিয়েছে শিবসেনা (একনাথ সিন্ধে)। তারপরই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ করছে উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী। উদ্ধবকে সমর্থন করছে কংগ্রেসও।
মুম্বই উত্তর-পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রে ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৪৪টি ভোট পান একনাথ সিন্ধে গোষ্ঠীর শিবসেনা প্রার্থী রবীন্দ্র দত্তারাম ওয়াইকার। শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) প্রার্থী আমোল গজানন কীর্তিকার পান ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৯৬ ভোট। অর্থাৎ জয়ের ব্যবধান মাত্র ৪৮টি ভোটের। উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী ইভিএম হ্যাক করে কারচুপির অভিযোগ করলেও তা খারিজ করেছেন মুম্বই উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার বন্দনা সূর্যবংশী।
বন্দনা সূর্যবংশী জানান, ওটিপি-র মাধ্যমে ইভিএম মেশিন হ্যাক করার কোনও পদ্ধতিই নেই। তার বিহীন কোনো যন্ত্রের মাধ্যমেও ইভিএম পরিচালনা করা যায় না। এক সংবাদপত্রের মাধ্যমে মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে। ওই সংবাদপত্রকে কমিশনের তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনো কাউন্টিং হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো যাবে না।
উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে বলেন, 'ইভিএম কারচুপি নিয়ে আমাদের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল। এমনকি এলন মাস্কও এই বিষয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন সবকিছুই হ্যাক করা যায়। আর নির্বাচন কমিশন কাউন্টিং দিনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছে। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে কমিশনের ফুটেজ প্রকাশ করতে সমস্যা কোথায়?'
সম্প্রতি পুয়ের্তো রিকোর নির্বাচনে ইভিএম-এর হিসাবের গরমিল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি ইভিএম বাদ দেবার পক্ষে সওয়াল করেছেন এলন মাস্ক। তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই ইভিএম বাদ দেওয়া উচিত। মানুষ অথবা আর্টিফিশিয়াল ইনটালিজেন্সের মাধ্যমে ইভিএম হ্যাক হবার ঝুঁকি কম হলেও, এখনও অনেক বেশি।”
এই তথ্য হাতিয়ার করে এবার সুব হয়েছে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে)। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চৌহান জানান, অবিলম্বে মুম্বই উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তদন্ত করা উচিত। অভিযোগ উঠতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করা হয়েছে গণনার দিন। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। প্রয়োজনের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসুক নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের ৪৮ আসনের মধ্যে ১৩টি জেতে কংগ্রেস, ৯টি করে জেতে বিজেপি ও শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে), ৮টি আসন জেতে এনসিপি (শরদ পাওয়ার), ৭টি আসন যায় শিবসেনা (একনাথ সিন্ধে)-র দখলে এবং ১টি করে আসন পায় এনসিপি (অজিত পাওয়ার) ও নির্দল প্রার্থী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন