অযোগ্যতার কারণে মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে একনাথ শিন্ধে সহ ১৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন শিবসেনার মুখ্য সচেতক সুনীল প্রভু। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সুনীল প্রভুর এই মামলার আবেদনের শুনানি করতে রাজি হয়েছে। আগামী ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
একনাথ শিন্ধে সহ বাকি ১৬ জন বিধায়ক যাতে বিধানসভায় ঢুকতে না পারেন সেই জন্য উচ্চ আদালতের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বাল।
সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জেবি পারদিওয়ালার সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চের সামনে কপিল সিব্বাল বিষয়টির উল্লেখ করেছেন। আদালতে সিব্বাল জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় একনাথ শিন্ধে সংবিধানের দশম তফসিল (দলত্যাগ বিরোধী আইন) লঙ্ঘন করেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে সিব্বাল জানিয়েছেন, "তিনি একাই দল নয়। এটা গণতন্ত্রের নৃত্যও নয়।" বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছেন যে, "আমরা আমাদের চোখ বন্ধ করে রাখিনি... আমরা বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করব।"
সিব্বাল আদালতে তর্কের সুরে জানিয়েছেন, "কার হুইপ গোনা হবে? দুপক্ষই নিজেদের হুইপ নির্বাচন করবেন। আসল শিবসেনা কে সেটা যদি নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে আস্থা ভোটের সময় ভোট গণনা কীভাবে হবে?" সিব্বালের এই মন্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, "আসুন আমরা দেখি এই পদ্ধতিটা কী... যদি এই পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ হয় তবে সেটা আমরা পরীক্ষা করে দেখব।"
সুনীল প্রভুর আবেদনে বলা হয়েছে যে, অপরাধী বিধায়করা বিজেপির মোহরা হিসাবে কাজ করে চলেছেন, দলত্যাগ করে তাঁরা সাংবিধানিকভাবে অন্যায় করছেন। ফের বিধানসভার সদস্য হিসাবে থাকার অনুমতি দিয়ে একটি দিনের জন্যও তাদের সেই অন্যায়কে বাড়তে দেওয়া উচিত নয়।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, "যেহেতু ডেপুটি স্পীকারের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেক্ষেত্রে উচ্চ আদালত তাঁকে বিধায়কদের অযোগ্যতার আবেদনগুলি নিয়ে অগ্রসর হতে নিষেধ করতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে সংবিধানের দশম তফসিল একটি নির্জীব বস্তুতে পরিণত হবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন