রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবে শিবসেনা। মঙ্গলবার একথা জানালেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।
এই মুহূর্তে চূড়ান্ত অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শিবসেনা। দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে বাল ঠাকরের প্রতিষ্ঠা করা এই রাজনৈতিক দলটি। উদ্ধব ঠকরেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদও ছেড়ে দিতে হয়েছে বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ধেকে। বিজেপির সাথে জোট করে সরকার গড়েছেন সিন্ধে।
এই পরিস্থিতিতে সেনা সাংসদরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার দাবি তোলেন। ২২ সাংসদের মধ্যে ১৬ সাংসদই উদ্ধব ঠাকরকে এই দাবি জানান। তাঁদের যুক্তি, দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলা। সূত্রের খবর, সাংসদদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঠাকরে।
যদিও প্রকাশ্যে সে কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, "আমার দলের উপজাতীয় নেতারা আমাকে বলেছেন যে এই প্রথম কোনও উপজাতীয় মহিলা ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কেউ আমাকে চাপ দেননি। আসলে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা তাতে আমার তাঁকে (দ্রৌপদী মুর্মু) সমর্থন করা উচিত নয়। তবুও করছি। কারণ আমরা সংকীর্ণ মনের মানুষ না।"
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। শিবসেনা সহ ১৮টি বিরোধী দল সম্মিলিত ভাবে যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সংখ্যার হিসেবে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর পাল্লা ভারী রয়েছে। যদি তিনি জয়ী হন, তাহলে তিনি ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হবেন। মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেখানে মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ তফসিলি উপজাতি। এই ভোট ব্যাংকের পুরোটাই সেনার দখলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবলমাত্র এই কারণে বিজেপিকে তীব্র অপছন্দ করা সত্ত্বেও দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে শিবসেনা। ঠাকরে ঘনিষ্ঠ সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত সোমবার জানিয়েছিলেন, দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার অর্থ বিজেপিকে সমর্থন করা নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন