বুধবার নোট বাতিলের সাতবছর পূর্তি। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরেই দেশের বাজারে কালো টাকা নির্মূল করার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আচমকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এরপর একাধিক রিপোর্টে দেখা গেছে সরকারের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। এই নিয়ে বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন বঙ্গ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরী।
এদিন সকালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তাঁর এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “শ্রদ্ধেয় মোদী জি, আজকে নোটবন্দির সাত বছর পূর্ণ হল। ভারতের বাজার থেকে সমস্ত কালো টাকা উদ্ধার করতে আপনার সুদূরপ্রসারি চিন্তাভাবনার ফসল ছিল এই পদক্ষেপ। কিন্তু এখন আমরা সেটার জন্য দিনটিকে উদযাপন করব? নাকি এই পদক্ষেপের ভয়ঙ্কর ব্যর্থতার জন্য শোকপালন করব?”
সাত বছর আগে আজকের দিনেই প্রধানমন্ত্রী মোদী কোনও পূর্ব ইঙ্গিত ছাড়া হঠাৎ করেই পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটকে ‘অকেজ’ বলে দেগে দেন। রাতারাতি মহা ফাঁপরে পড়েন দেশের কোটি কোটি মানুষ। মোদী সরকারের তরফে বলা হয়, দেশের বাজারে কালো টাকা ছড়িয়ে পড়া রুখে বাজার থেকে সেই টাকা একেবারে সাফ করে দেওয়ার জন্যই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। শুধু তাই নয়, কালো টাকা উদ্ধার ছাড়াও মোদী বাহিনীর নজরে ছিল জাল নোট (Fake Indian Currency Notes: FICN) বাতিল, সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক ভিত্তির গোঁড়ায় আঘাত হানার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির ঢালাও পরিবর্তন।
কিন্তু কোনও পূর্ব-পরিকল্পনা ছাড়াই সরকারের এই পদক্ষেপ দেশের সব স্তরের মানুষকে ব্যাপক ফ্যাসাদে ফেলে দেয়। প্রতিদিন দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা 'বদল' করতে হয়েছে আমজনতাকে। এমনকি দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বলে একাধিক মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছল। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি, নোট বাতিলের পদক্ষেপ দেশের বাজার থেকে কালো টাকার প্রবাহ অনেক কমিয়েছে, করদানের পরিমাণ বাড়িয়েছে, আর্থিক প্রবাহে ব্যাপক স্বচ্ছতা এনেছে। কিন্তু সেইসব তথ্য লিখিতভাবে কোনও রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য প্রকাশ করেনি সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন