সুপ্রিম কোর্টে ইউএপিএ মামলায় জামিনের শর্তে কিছুটা ছাড় পেলেন সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পান। প্রতি সপ্তাহে আর নিজামুদ্দিন থানায় হাজিরা দিতে হবে না ওই সাংবাদিককে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০২০ সালে হাথরসে গণধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা কভার করতে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করার প্রচেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেরালার সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানকে। ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দেন। সেই জামিনের শর্তে সংশোধন আনলো বিচারপতি পি এস নরসিমা এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ।
সোমবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, পূর্বে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা কিছুটা সংশোধন করা হল। মামলাকারীকে প্রতি সপ্তাহে ওই থানায় হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
জামিনের শর্তে ছাড় দেওয়ার আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিদ্দিকী কাপ্পান। গত ১৭ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল কাপ্পানের আবেদনের জবাব দিতে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি (CJI) ইউ ইউ ললিত (UU Lalit) তাঁকে জামিন দিয়ে বলেছিলেন, সিদ্দিকী কাপ্পানকে দিল্লিতেই থাকতে হবে। ৬ সপ্তাহ ধরে কাপ্পানকে নিজামুদ্দিন থানায় নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। কেরালায় ফিরে গেলেও তাঁকে স্থানীয় থানায় জানাতে হবে।
সিদ্দিকী কাপ্পান একজন দিল্লি-ভিত্তিক মালায়ালী সাংবাদিক। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে উচ্চবর্ণের ব্যক্তিদের দ্বারা এক দলিত নাবালিকার ধর্ষণ ও হত্যার খবর করতে যাওয়ার সময় কাপ্পানকে গ্রেপ্তার করে সে রাজ্যের পুলিশ। কাপ্পানের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ সরকারের অভিযোগ, তিনি মুসলিম সংগঠন PFI-এর সদস্য। তাঁকে ৪৫০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল হাথরসে গিয়ে সন্ত্রাসবাদী কর্যাকলাপ করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি যোগী সরকার। ২০২৩ সালে ২৮ মাস জেলে থাকার পর মুক্তি পান সিদ্দিকী কাপ্পান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন