হায়দরাবাদ, ৯ মার্চ: কয়লা খনি বাণিজ্যিকীকরণের প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসেছেন তেলঙ্গানার সিঙ্গারেনি কোলিয়ারি কোম্পানি লিমিটেড (এসসিসিএল)-এর খননশ্রমিক ও কর্মীরা। সোমবার থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
অল ইন্ডিয়া কোল ওয়াকার্স ফেডারেশনের তরফে খনিগুলোকে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে যৌথভাবে এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন সিটু, সিঙ্গারেনি কোলিয়ারির শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা। ভুপালপল্লি, কোঠেগুদাম ও মঞ্চিরওয়ালায় এসসিসিএল-এর ইউনিটগুলোতে ধর্নায় বসেছেন শ্রমিকরা। শুধু খনির বেসরকারিকরণের প্রতিবাদই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদও জানিয়েছেন তাঁরা। এবং অবিলম্বে এই কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। এসসিসিএল শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা উচ্চশিক্ষা করতে চান, তাঁদের সেই সুবিধা দেওয়ার জন্য সংস্থার জেনারেল ম্যানেজাররা যেন নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট সহজেই দিয়ে দেন। এমন দাবিও করা হয়েছে।
এসসিইইউ-এর সচিব মান্ডা নরশিমা জানিয়েছেন- খনি কর্মীদের দেশজুড়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি এসসিসিএল-এর সমস্ত শাখায় ধর্নার আয়োজন করা হয়েছে। ২০ মার্চ থেকে এসসিইইউ-এর জেনারেল ম্যানেজারের অফিসের সামনে ধর্না শুরু করা হবে। এছাড়াও ১ থেকে ১০ এপ্রিল বিভিন্ন শ্রমিক কলোনিগুলোতে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপির নেতাদের কুশপুতুল বানিয়ে পোড়ানো হবে বলেও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এর আগে চারটি শ্রমিক কোড প্রত্যাহারের দাবিতে সময়ে সময়ে সিঙ্গারেনির শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। অবিলম্বে একাদশ বেতন বোর্ড গঠন করার দাবিও করা হয়েছে। শ্রমিকদের বাড়ি ভাড়া মেটানো, অনিয়মিত ডিএ পদ্ধতি বন্ধ করতে, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের বেতন সমান করার, কোলিয়ারির শ্রমিকদের আয়কর ছাড় দেওয়ার, খালি পদে কর্মী নিয়োগ করার মতো একাধিক দাবিও জানানো হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন