ভারতে বেড়েই চলেছে ইন্টারনেট শাটডাউন। গত এক দশকে দেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্লাকআউট হয়েছে ৯৬০ বার। এর মধ্যে, ২০২১ সালে হয়েছে ১০১ বার, আর চলতি বছরে হয়েছে ৭৫ বার। সম্প্রতি এই তথ্য তুলে ধরেছে- ‘সফ্টওয়্যার ফ্রিডম ল সেন্টার’ (SFLC)।
'লেট দ্য নেট ওয়ার্ক: ইন্টারনেট শাটডাউনস ইন ইন্ডিয়া ২০২২' শিরোনামে SFLC জানিয়েছে, ‘২০২২ সালে পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধ থেকে শুরু করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ৭৫ বার ইন্টারনেট বন্ধ করেছে সরকার।’
এছাড়া, ইন্টারনেট শাটডাউন ট্র্যাকার (IST) হিসাবে https://internetshutdowns.in, যে ওয়েবসাইট ২০১২ সাল থেকে দেশের প্রতিটি ইন্টারনেট বন্ধের তথ্য নথিভুক্ত করেছে, সেখানে জানা যাচ্ছে- ২৬ জানুয়ারি, জম্মু ও কাশ্মীরে প্রথম ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল।
২০২২ সালের টপ 10VP রিপোর্ট অনুসারে, ইন্টারনেট বন্ধের কারণে শুধুমাত্র চলতি বছর ১৭৪.৬ মিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ভারত। দীর্ঘসময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে মানুষের জীবিকাকে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। কর্মক্ষেত্র, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
ইন্টারনেট বন্ধের প্রভাব কতটা পড়েছে, তা নিয়ে অনেক তথ্যই উঠে এসেছে SFLC.in-এ। যেখানে জানা যাচ্ছে- সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট বন্ধের শিকার হয়েছে কাশ্মীর। সেখানে টানা ৫২২ দিন ইন্টারনেট বন্ধ থেকেছে। কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের একটি রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর।
এছাড়া, ইন্টারনেট বন্ধের কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কাশ্মীরের পর্যটন ও মোবাইল পরিষেবা। আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের বেতন পাননি ৫ হাজার সেলসম্যান। শুধু তাই নয়, আরও, কাশ্মীরে চাকরি হারিয়েছেন ৪.৯৬ লক্ষ মানুষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন