'সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমাজের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে' - নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি RSS ঘনিষ্ঠের

এই ইস্যুতে চিনকে দুষে গুরুমূর্তির মন্তব্য, ‘চিন সোশ্যাল মিডিয়ার শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে। সুপ্রিম কোর্টও তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমাদের সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।
এস. গুরুমূর্তি
এস. গুরুমূর্তিফাইল চিত্র - সংগৃহীত
Published on

কয়েকদিন আগে ফেসবুকের প্রাক্তন কর্মীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে ভারতে। তাতে প্রধান ভূমিকায় রয়েছে বিজেপি ও আরএসএসের। এবার সেই সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন আরএসএস ঘনিষ্ঠ এস. গুরুমূর্তি।

তাঁর অভিযোগ, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমাজের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। অরাজকতা তৈরি হচ্ছে।‘ এই ইস্যুতে চিনকে দুষে গুরুমূর্তির মন্তব্য, ‘চিন সোশ্যাল মিডিয়ার শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে। সুপ্রিম কোর্টও তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমাদের সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। ফেসবুক আসার আগে কি আমরা বাঁচতাম না?’ সোমবার প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার এক অনুষ্ঠানে এভাবে সরব হন তিনি।

যদিও তাঁর মন্তব্যে আপত্তি তোলেন কাউন্সিলের কয়েকজন সদস্য। বেকায়দায় পড়েছেন বুঝতে পেরে নিজের বক্তব্যে কিছুটা সংশোধনী আনেন তিনি। তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শব্দটা খুব গুরুগম্ভীর। আমরা অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ার নৈরাজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই পারি।‘ গুরুমূর্তির যুক্তি, ‘অরাজকতা শব্দকে অনেকে বিশেষণ হিসেবে ধরে। যেমন বিপ্লব এবং গণহত্যার মধ্যে অনেকে ভালো খুঁজে পায়। কিন্তু একমাত্র আত্মত্যাগেই শৃঙ্খলা আসে।‘

প্রসঙ্গত, ভারতে ফেসবুকের মাধ্যমে আপত্তিকর, সাম্প্রদায়িক ভাষ্য প্রচার করা হচ্ছে। সম্প্রতি ফেসবুকে প্রাক্তন কর্মী ফ্রান্সেস হজেন এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন। বাংলা ও হিন্দিতে এই ধরনের ঘৃণা জাগানো প্রচার চলছে অবাধে। এব্যাপারে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। বিজেপির আইটি সেল কীভাবে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তা ফেসবুক জানে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু ফেসবুক কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি এর বিরুদ্ধে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ একটি পরীক্ষামূলক একাউন্ট খোলে। ফেসবুকের অ্যালগরিদমে আসা পেজ বা গ্রুপে কী আছে, তা দেখার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তিন সপ্তাহের মধ্যেই তাঁর ফিডে ভুয়া খবর, ভয় জাগানোর মতো ছবি, শিরশ্ছেদ, বানানো ছবিতে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল।

এস. গুরুমূর্তি
বিজেপির IT Cell কীভাবে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তা ফেসবুক জানে! আবারও কাঠগড়ায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in