২৪ জানুয়ারী অর্থাৎ আজ বিহারের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা অনগ্রসর শ্রেণি সংরক্ষণ (ওবিসি)-র রূপকার কর্পূরী ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী। তার ঠিক একদিন আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্পূরী ঠাকুরীকে মরণোত্তর ভারত রত্ন সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। এদিন প্রথা মেনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মর দফতর থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৮ সালে প্রয়াত হন কর্পূরী ঠাকুরী। তিনি ছিলেন প্রথম অ-কংগ্রেস সমাজতান্ত্রিক নেতা যিনি দুবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছচিলে - প্রথম ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে সাত মাসের জন্য এবং পরে ১৯৭৭ সালে দুই বছরের জন্য। কর্পূরী ঠাকুর 'জন নায়ক' নামে আমজনতার মধ্যে পরিচিত। ৪৯ তম প্রাপক হিসেবে তিনি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পাচ্ছেন। ২০১৯ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে শেষবার এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
১৯২৪ সালের ২৪ জানুয়ারী নয় সমাজে (নাপিত সমাজ) জন্মগ্রহণ করেন কর্পূরী। ১৯৭০ সালে বিহারে অ্যালকোহল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাজ্যজুড়ে আলোড়ন ফেলেছিলেন তিনি। তাঁর এই অবদানকে সম্মান জানিয়ে সেমিস্তুপুর জেলার নামকরণ করা হয় 'কর্পূরী' নামে।
ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য কর্পূরী ঠাকুর কলেজ ত্যাগ করেন। 'ভারত ছাড়ো আন্দোলন'-এ অংশ নেওয়ার জন্য ১৯৪২-৪৫ সালের মধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
কর্পূরী ঠাকুর প্রথম ১৯৫২ সালে বিহার বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৮৮ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, "এটি একটি পুরানো দাবি, যা এখন পূরণ হল। এই সিদ্ধান্ত সমাজের বঞ্চিত অংশগুলির মধ্যে একটি ইতিবাচক বার্তা পাঠাবে।“
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমাজের বঞ্চিত মানুষদের উন্নতির জন্য কর্পূরী ঠাকুরের ত্যাগ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য তাঁর নিরলস লড়াইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা ছিল তাঁর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন