'সমস্যা সমাজের অঙ্গ, সব সমাধান আদালতে হয় না’: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে PIL নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন BJP নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট ফাইল ছবি
Published on

দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব সরকারের। এটির সঙ্গে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এই ইস্যুতে নাক গলাবে না আদালত। শুক্রবার, এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমনই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত (CJI U.U. Lalit) ও বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার (Justice J.B. Pardiwala) বেঞ্চ এক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, ‘সমস্যা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই, আদালতে গিয়ে সব সমস্যার সমাধান করা যায় না।’

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। শুক্রবার, সেই মামলায় পিটিশন গ্রহণ করতে না চেয়ে আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ‘এখন তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব। আমাদের কাজ শেষ। আমরা পিটিশনটি বন্ধ করে দেব', মন্তব্য আদালতের।

শুধু তাই নয়, আবেদনকারীর দাবি অনুযায়ী সমস্ত রাজ্যকে নোটিশ জারি করার বিষয়টিও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আদালতে যুক্তি পেশ করে আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘যেহেতু জনসংখ্যার বিষয়টি সংবিধানের যুগ্ম তালিকাভুক্ত, তাই রাজ্যগুলিও এটি নিয়ন্ত্রণ করতে আইন তৈরি করতে পারে।’ এই যুক্তি তুলে ধরে, আদালতের পক্ষ থেকে সমস্ত রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করার আহ্বান জানান অশ্বিনী উপাধ্যায়। তবে, এদিন সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

কোনও সমাজই সমস্যামুক্ত নয়। এই বক্তব্যের উপর জোর দিয়ে শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে যে, সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারার মাধ্যমে প্রতিটি সমস্যার সমাধান করা যায় না। প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৩২ ধারায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।

এই ইস্যুতে, শীর্ষ আদালতে পরবর্তী শুনানি হবে ১১ অক্টোবর।

আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় আবেদন করেছিলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য 'দুই সন্তান নীতি' প্রয়োগের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশনা দিক সুপ্রিম কোর্টে।

২০২০ সালে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছিল, বলপূর্বক নাগরিকদের পরিকল্পনায় হস্তক্ষেপের বিষয়ে কখনওই মান্যতা দেয় না ভারত সরকার। এর ফলে একাধারে যেমন সামাজিক অস্থিরতা তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে, তেমনই জন্মনিয়ন্ত্রণে সরকারি হুমকি চাপানোর ফলও হিতে বিপরীত হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্ট
Italy: ফ্যাসিবাদ প্রায় মুছে যাওয়া ইতালিতে মুসোলিনির ছায়া, উগ্র-দক্ষিণপন্থার প্রত্যাবর্তন
সুপ্রিম কোর্ট
Uttar Pradesh: দলিত-ছাত্রকে 'হত্যা'র জেরে অগ্নিগর্ভ যোগীরাজ্য, জ্বালানো হল পুলিশ ভ্যান

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in