উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে এক মুসলিম দম্পতিকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠলো প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফাতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের একজনের মেয়ের সাথে নিহত দম্পতির ছেলের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল।
সীতাপুরের পুলিশ সুপার চক্রেশ মিশ্র জানিয়েছেন, নিহত দম্পতির নাম আব্বাস আলি এবং কামরুল নিশা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। আব্বাসের ছেলে সউকতের সাথে পাশের এক হিন্দু পরিবারের মেয়ের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। যার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে সউকত এবং ওই মেয়েটি পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু তখন মেয়েটি নাবালিকা ছিল। তাই মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সউকতকে এবং চলতি বছরের শুরুতে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটির।
কিছু দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পান সউকত। মেয়েটির সাথে তার যোগাযোগ শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে মেয়েটির পরিবার সউকতের বিরুদ্ধে ফের মামলা দায়ের করে। কিন্তু এবার আদালতে মামলা চলাকালীন মেয়েটি স্পষ্ট জানান, তিনি সউকতের সাথেই বাকি জীবন কাটাতে চান। চলতি মাসে সউকত জামিনে মুক্তি পাবার পর মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যান।
শুক্রবার বিকেলে আব্বাস আলির বাড়িতে মেয়ের বাবা সহ কয়েকজন চড়াও হন। হরিগাঁও থানায় নিহত দম্পতির মেয়ের দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, অভিযুক্তরা বাড়িতে ঢুকেই আব্বাস আলি এবং তাঁর স্ত্রীকে লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন। মেয়ে জানিয়েছেন, “ওরা আমাকেও মারতে চেয়েছিল, আমি কোনওরকমে পালিয়ে বেঁচেছি। হামলার সময় চিৎকার করে সকলকে ডেকেছিলাম, কিন্তু কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।“
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় রবিবার রাত পর্যন্ত শৈলেন্দ্র জয়সওয়াল, পল্লু এবং অমরনাথ নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন