পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। গুজরাটের ভারুচ জেলা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ধৃতের নাম প্রবীণ মিশ্র। গুজরাটের সিআইডি জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী এবং ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমন্ট অর্গানাইজেশনের গোপন তথ্য পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার কাছে প্রেরণ করতেন প্রবীণ।
সিআইডি সূত্রে খবর, উধমপুরের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেন আধিকারিকরা। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির তথ্য পান তাঁরা। জানা গেছে, ওই যুবক গুজরাটের ভারুচ জেলার আঙ্কলেশ্বরে থাকতেন। তিনি বিহারের মুজাফফরপুরের বাসিন্দা। হোয়াটসঅ্যাপ কল ও অডিও মেসেজের মাধ্যমে পাকিস্তানের সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই প্রবীণ মিশ্র ও পাকিস্তানের ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা রজু করা হয়েছে। জানা গেছে, পাকিস্তানের ওই এজেন্ট ভারতীয় নম্বর ব্যবহার করতেন। ‘সোনাল গর্গ’ নামে তাঁর একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্টও ছিল। দেশের একটি নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মীর পরিচয় দিয়ে প্রবীণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন পাকিস্তানী ওই এজেন্ট। প্রবীণকে ‘যৌনতার ফাঁদে’ ফেলে তাঁর কাছ থেকে সেনার ড্রোন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি।
সিআইডির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, "অপরাধী ষড়যন্ত্রে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর অপারেটিভের সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছে।“
সশস্ত্র গোয়েন্দারা সিআইডিকে সতর্ক করেছে, যাতে কোনওভাবেই সশস্ত্র বাহিনী, ডিআরডিও এবং হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেডের বর্তমান এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের তথ্য প্রকাশ না পায়। কারণ এগুলি খুবই গোপন বিষয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষের দিকেও পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটের জামনগরের বাসিন্দা মহম্মদ সাকলাইন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে গুজরাটের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন