তামিলনাড়ুর কাট্টুপাল্লি বন্দর সম্প্রসারণের বিরোধিতায় #StopAdaniSaveChennai ট্রেন্ডিং ট্যুইটারে

কাট্টুপাল্লি বন্দর সম্প্রসারণের জন্য যে এলাকা চিহ্নিত হয়েছে সেখানে পড়ছে পুলিকাট বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। স্থানীয়দের বক্তব্য, এলাকার পরিবেশগত তথ্য বিকৃত করে এই সম্প্রসারণের অনুমতি হাসিল করেছে আদানি গোষ্ঠী।
কাট্টুপাল্লি বন্দর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের আন্দোলন
কাট্টুপাল্লি বন্দর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের আন্দোলনফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

তামিলনাড়ুর কাট্টুপাল্লি বন্দরে আদানি গোষ্ঠীর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে ক্রমশই বিক্ষোভ দানা বাঁধছে। এই বন্দরের সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে #StopAdaniSaveChennai ট্যুইটার ক্যাম্পেন। যে হ্যাসট্যাগে এখনও পর্যন্ত ৩০,৫০০ ট্যুইট হয়েছে।

এদিন ভেন্নিলা থানুমানাভন তাঁর ট্যুইটে জানিয়েছেন – এই সম্প্রসারণ গোটা তামিলনাড়ুর যত বন্দর আছে তার ৩ গুণ ক্ষমতাসম্পন্ন। অথচ তামিলনাড়ুতে বর্তমানে যা বন্দর আছে তার সম্পূর্ণ ব্যবহার হয়না। সেক্ষেত্রে এটা পরিষ্কার এই বন্দর সম্প্রসারণ জনস্বার্থে নয়। সুতরাং অবিলম্বে এই প্রকল্প বন্ধ করা দরকার।

লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম তাঁর ট্যুইটে বলেছেন – আমাদের জল, জঙ্গল, জলাভূমি বিক্রি বন্ধ হোক।

এনটিকে ফর তামিলনাড়ু ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে – এই সরকার কর্পোরেটদের স্বার্থে পরিবেশ এবং জনজীবন ধ্বংস করতে তৈরি।

তামিলনাড়ুর কাট্টুপাল্লি বন্দরের সম্প্রসারণের জন্য ৫৩,৪০০ কোটি টাকার মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে আদানি গোষ্ঠী। যদিও ইতিমধ্যেই এই সম্প্রসারণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।

কাট্টুপাল্লি বন্দর সম্প্রসারণের জন্য যে এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানেই পড়ছে পুলিকাট বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুসারে এলাকার পরিবেশগত তথ্য বিকৃত করে এই সম্প্রসারণের অনুমতি হাসিল করেছে আদানি গোষ্ঠী। তামিলনাড়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আগামী ২২ জানুয়ারি এক জনশুনানির ঘোষণা করা হয়েছে।

আদানি গোষ্ঠীর এই বন্দর সম্প্রসারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে ডিএমকে, এমডিএম, বাম সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন গণসংগঠনের পক্ষ থেকে বন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন চলছে। তাঁদের মতে পরিবেশ ধ্বংস করে সম্পূর্ণ বেআইনি এই প্রকল্প করা হলে বন্যার ঝুঁকি বাড়বে, সাধারণ মানুষের এবং ওই এলাকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠী, মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে।

আদানি গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত এই বন্দর সম্প্রসারণে ৬,১১১ একর জমির প্রয়োজন। বর্তমানে কাট্টুপাল্লি বন্দরে ৩৩০ একর জমি আছে। এই সম্প্রসারণের জন্য অতিরিক্ত যে জমি লাগবে তার জন্য প্রায় ২০০০ একর জমি তৈরি করা হবে সমুদ্রে বালি ফেলে। এছাড়াও বাকি ২,৩০০ একর জমির জন্য স্থানীয় বেশ কিছু রাস্তা, বসতি এলাকা, জলাভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। প্রায় ২০০০ একর জলাভূমি সম্পূর্ণ বুজিয়ে ফেলে একে স্থলভূমিতে পরিণত করা হবে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in