শ্রীপেরামবুদুরে স্যামসং ইলেকট্রনিক্স-এর দক্ষিণ ভারতীয় প্ল্যান্টে তৃতীয় দিনে পা দিল শ্রমিকদের ধর্মঘট। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘট বুধবারেও চলছে। মজুরি বৃদ্ধি, কাজের পরিবেশের উন্নতি সহ ৮ দফা দাবিতে এই ধর্মঘট চলছে। তবে দক্ষিণ ভারতের কারখানায় ধর্মঘট চললেও উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে স্যামসং-এর দ্বিতীয় কারখানায় পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। শ্রীপেরামবুদুরের কারখানার ১৭০০ শ্রমিকের মধ্যে দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন।
শ্রমিকদের মূল দাবি ইউনিয়নের স্বীকৃতি দিতে হবে এবং মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। ইতিমধ্যেই শ্রমিক বিক্ষোভের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য স্যামসং-এর দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার সিইও জে বি পার্ক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট আধিকারিকরা ভারতে এসে পৌঁছেছেন। যদিও তাঁরা এই আন্দোলনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
চেন্নাই শহরের কাছে শ্রীপেরামবুদুরের কারখানার গেটের বাইরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ অবস্থান করছেন এবং শ্লোগান দিচ্ছেন। অধিকাংশ শ্রমিকই কোম্পানির নির্ধারিত পোষাক পরে কারখানার গেটের বাইরে অবস্থান করছেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে টালবাহানা করছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের দাবি নিয়ে লড়াই করবার জন্য সিআইটিইউ-র নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছে স্যামসং ইন্ডিয়া ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোম্পানির পক্ষ থেকে ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। উল্টে মালিকপক্ষ পাল্টা আরেকটি ইউনিয়ন গঠনের চেষ্টা করছে।
শ্রমিক ইউনিয়নের অভিযোগ, নতুন সংগঠনের যোগ দিলে সকলকে একটি করে টিভি, ফ্রিজ এবং নগদ অর্থ দেওয়া হবে। যদিও শ্রমিকরা এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রয়টার্স-এর প্রতিবেদন অনুসারে, এই কারখানায় মূলত তৈরি হয় টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর এবং ওয়াশিং মেশিন। যেখান থেকে ভারতে স্যামসং-এর মোট ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশের লখনৌর কারখানায় তৈরি হয় স্মার্টফোন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন