তৃণমূল সরকারের কাজে বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের এক চতুর্থাংশ মানুষ। পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা, নবান্ন থেকে নানুর- সর্বত্র যেভাবে সরকার চলছে, তাতে মোটেও সন্তুষ্ট নন রাজ্যের একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠী। মাত্র এক- তৃতীয়াংশ মানুষ মমতা সরকারের কাজে খুশি। আর ‘কিছু করার নেই’, ‘কি আর করা যাবে’- এমন মনোভাব রাখেন রাজ্যের সর্বাধিক মানুষ। তৃতীয় তৃণমূল সরকারের একবছর পূর্তি কালে সমীক্ষক সংস্থা সি-ভোটার (C-Voter) যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতেই উঠে এসেছে এই চিত্র।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রায় ৩১.০১ শতাংশ মানুষ সরকারের কাজে খুশি। একেবারেই খুশি নন ২২.৩৮ শতাংশ। সরকারের সব কাজে খুশি নন ৪৬.৫ শতাংশ মানুষ। তবে, একই সময়কালে বাম শাসিত কেরালায় রাজ্য সরকারের কাজে একেবারে সন্তুষ্ট ৩২.৩ শতাংশ মানুষ। সরকারে কাজে খুশি নন ২৫.৬৯ শতাংশ মানুষ। সরকারের কাজে মোটের উপর সন্তুষ্ট রাজ্যের ৪০.৬৬ শতাংশ মানুষ।
শুধু কি তাই? না। রাজ্য বিধানসভার সদস্যদের পারফরমেন্স নিয়েও সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সি-ভোটার। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ জন বিধায়ক এবং কেরালার ১৪০ জন বিধায়কের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগণের মনোভাব তুলে ধরা হয়েছে।
সি-ভোটারের সমীক্ষায় জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের ২৫.১৩ শতাংশ মানুষ বিধায়কদের কাজ নিয়ে খুশি। তবে, ৩২.৬৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, বিধায়কদের কর্মকাণ্ডের বদান্যতায় গত এক বছরে তাঁদের জীবনযাত্রার মান পূর্বের তুলনায় খারাপ হয়েছে৷ আর ৩৭.৪৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ২০২১ সালের ৫ মে রাজ্যে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর তেমন কোনও পরিবর্তন আসেনি তাঁদের জীবনে। কিছু ক্ষেত্রে ঠিক আছে বিধায়কদের ভূমিকা।
অন্যদিকে, কেরলার ৪৫.১১ ১৩ শতাংশ মানুষ রাজ্যের বিধায়কদের কাজে খুব খুশি। মাত্র ১৫.৫৭ শতাংশ মানুষ বিধায়কদের ভূমিকায় একেবারে সন্তুষ্ট নন। আর বিধায়কদের কাজ মোটের উপর ঠিক আছে বলে মনে করেন ৩০.৭৬ শতাংশ মানুষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন