কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর 'ফেল' কটাক্ষের কড়া জবাব দিলেন ইউক্রেনে নিহত পড়ুয়া নবীন শেখরাপ্পা জ্ঞানগউধরের বাবা। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ৯৭ শতাংশ নম্বর ছিল নবীনের, দাবি তাঁর বাবার। নবীনের মৃত্যুর জন্য সরকারী কোটা সিস্টেমকেই দায়ী করছে তাঁর পরিবার।
সোমবার কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, যাঁরা MBBS পড়তে বিদেশে যান, তাঁদের ৯০ শতাংশই ভারতের মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষা NEET-এ পাশ করতে পারেননা। মঙ্গলবার ইউক্রেনে আটক কর্ণাটকের বাসিন্দা ২১ বছরের নবীনের মৃত্যুর পর মোদীর মন্ত্রীর এই মন্তব্য ভাইরাল হয়। নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। সরব হয় নবীনের পরিবারও।
নবীনের বাবা শেখরাপ্পা সংবাদসংস্থাকে জানান, "PSU-তে (দ্বাদশ শ্রেণিতে) ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল আমার ছেলে। তা সত্ত্বেও রাজ্যে মেডিক্যাল সিট নিশ্চিত করতে পারেনি। মেডিক্যালের সিট পেতে কোটি কোটি টাকা ডোনেশন দিতে হবে। বিদেশে এই একই ডিগ্রি অনেক কম খরচে হয়। মেধাবী পড়ুয়াদের বাধ্য হয়ে বিদেশ যেতে হচ্ছে।"
নবীনের কাকা তাঁর মৃত্যুর জন্য সরকারি কোটা-সিস্টেমকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ভারতে MBBS করতে গেলে অনুদান দিতে হবে। আমাদের পরিবার অনুদান দিতে পারেনি। নবীনকে তাঁর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য ইউক্রেনে যেতে হয়েছিল। ভারতে আসন বরাদ্দ হয় শুধুমাত্র জাতিভিত্তিক সংরক্ষণের ভিত্তিতে, মেধার ভিত্তিতে নয়।
নবীনের পরিবার জানিয়েছে, নবীন ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। নিজের স্কুলের টপার ছিলেন। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। দশম শ্রেণির পরীক্ষাতে ৬২৬-এর মধ্যে ৬০৬ পেয়েছিলেন তিনি।
নবীনের মৃত্যুর পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও কখন তাঁর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবিষয়ে সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট তথ্য তাঁরা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। তবে নবীনের দেহ ফিরিয়ে আনার থেকেও আটক অন্যান্য পড়ুয়াদের জীবিত অবস্থায় দেশে ফেরানো অনেক জরুরী বলে জানিয়েছেন নবীনের দাদা হর্ষ।
- With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন