আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত এক মাস ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর আগের শুনানিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আবেদন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সোমবারের শুনানিতে আর আবেদন নয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরা নিয়ে এবার কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন শুনানিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরা নিয়ে কড়া বার্তা দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানান, “মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার মধ্যে কাজে ফিরতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ হবে না, আমরা তো বলেছি। কিন্তু ওই ডাক্তারেরা কাজে যোগ না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে তখন আমরা বাধা দিতে পারব না।”
আন্দোলনকারী ডাক্তারদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী গীতা লুথরা। তিনি আদালতে বলেন, শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলা হাসপাতালেও জুনিয়র ডাক্তাররা হুমকির মুখে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না হলে তাঁরা কাজ করতে পারছেন না।
জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি সম্পর্কে গীতা লুথরা বলেন, ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে আদালতে। সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন। ফলে পরিষেবা ব্যাহত হয়নি।
এর আগে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের যুক্তি ছিল, “২৩ জন মারা গিয়েছেন। ৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ডাক্তাররা কাজে ফিরছেন না। এই আদালত গত শুনানিতে কাজ শুরু করতে বলেছিল। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই যে কোনও জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচী করা হচ্ছে। ৪১ জন পুলিশকর্মী আহত। এক জন পুলিশের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ।”
দুই পক্ষের সওয়াল শেষে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্যকে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, “হাসপাতালে কত বরাদ্দ করা হয়েছে, তা জানতে চাই না। ওই হাসপাতালে কী করা হয়েছে, সেটি জানতে চাই।” পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যকে এই বিষয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, “মেডিক্যাল কলেজের মাথায় ডিস্ট্রিক কালেক্টরদের নিয়োগ করুন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে আমাদের জানান।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন