১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর, আদালত অবমাননা নিয়ে যে সকল মমলা দায়ের হয়েছিল, সেই সমস্ত মামলা বন্ধ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার, বিচারপতি এস কে কাউলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেছিল সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে অন্য মামলাগুলির কোনও অর্থ হয় না আর। তাই এই মামলা প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
আদালত জানিয়েছে, টানা ৩০ বছর এই মামলা চলেছে। অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। মামলার মূল আবেদনকারী মারা গেছেন। তাছাড়া ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে বিচার করার জন্য আর কিছুই বাকি নেই। তাই, এখন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলাগুলি ভিত্তিহীন।
আদালতের কথায়, 'একই মামলা বারবার বিচার করার অর্থ মৃত ঘোড়াকে টেনে নিয়ে যাওয়া। মূল আবেদনকারী ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যেও অনেকেই মারা গিয়েছেন। সবমিলিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মামলাগুলি বন্ধ করে দেওয়াই ভাল।’
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর, তৎকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যার বিতর্কিত জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের পথ খুলে দেয়। একইসঙ্গে, মসজিদ নির্মাণের জন্য কেন্দ্রকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করার নির্দেশ দেয়।
এদিন মামলা বন্ধ প্রসঙ্গে মমলাকারীদের আইনজীবী বলেন, ‘১৯৯২ সালে শীর্ষ আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করা হয়েছিল। তারপরেই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রায় ৩০ বছর কেটে গিয়েছে। বিষয়টিকে তালিকাভুক্ত করার জন্য অনেক আবেদন করা হয়েছিল। বিচারপতি এএস ওকা এবং বিক্রম নাথের বেঞ্চে অবমাননার মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন ছিল। মামলাকারীও ২০১০ সালে মারা গিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর, মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর দ্বারা নির্মিত বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন