আরজি কর কাণ্ডে সমাজ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে নির্যাতিতার নাম। এমনকি গুগল সার্চ করলেও উইকিপিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে নির্যাতিতার নাম। এবার উইকিপিডিয়াকে 'তিলোত্তমা'র নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতীয় আইনে উল্লেখ রয়েছে যে ধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতার নাম কোনওভাবেই প্রকাশ্যে ব্যবহার করা যায় না। কেউ ব্যবহার করলে তা আইনত অপরাধ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ৭২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনায় কেউ যদি নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন, তাঁকে দোষী হিসাবে গণ্য করা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনত শাস্তি হবে। জরিমানা বা কারাদণ্ড হতে পারে।
আরজি করে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার নাম-ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট জানায় নির্যাতিতার নাম বা পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ পোস্ট করতে পারবেন না। যাঁরা পোস্ট করেছেন যেন অবিলম্বে সমস্ত পোস্ট মুছে ফেলেন। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরেও প্রধান বিচারপতি একই নির্দেশ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবারও তিনি নির্যাতিতার নাম প্রকাশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, অবিলম্বে উইকিপিডিয়াতে থাকা নির্যাতিতার নাম মুছে ফেলতে হবে। কোনওভাবেই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে ব্যবহার করা যায় না। মৃত ব্যক্তির মর্যাদা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখার স্বার্থে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। পাশাপাশি মৃত চিকিৎসকের সমস্ত ছবিও উইকিপিডিয়া থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন