আর জি কর কাণ্ডের পর রাতে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প আনে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পে মহিলাদের রাতের শিফ্টে কাজ যতটা সম্ভব কমাতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল রাজ্য। এবার সেই বিজ্ঞপ্তির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “কীভাবে বলেন, রাতে মহিলারা কাজ করতে পারবেন না?”
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ছিল আর জি কর মামলার শুনানি। শুনানিতে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে মহিলাদের রাতের শিফটের প্রসঙ্গ উঠতেই কার্যত বিরক্তির স্বরে রাজ্যকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “কীভাবে বলেন রাতে মহিলারা কাজ করতে পারবেন না? মহিলা চিকিৎসকদের কেন এভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন? বিমান পরিষেবা, সেনায় অনেক মহিলা রাতে কাজ করেন। ফলে এই বিজ্ঞপ্তি কেন?”
এরপরেই রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “মহিলারা সমস্ত শিফটে কাজ করতে প্রস্তুত। তাঁরা চান সমান সুযোগ। মহিলা ডাক্তারেরা সব পরিস্থিতিতে কাজ করতে চান। তাঁদের সব পরিস্থিতিতে কাজ করা উচিত। রাজ্যকে এটি সুনিশ্চিত করতে হবে। কপিল সিব্বল এই বিষয়টিতে দেখুন। আপনাদের উপযুক্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতেই হবে।“
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশ, রাজ্যকে ওই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করতে হবে। প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পর রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, বিজ্ঞপ্তির ওই অংশটুকু মুছে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের পরেই গত আগষ্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাতে নারী সুরক্ষার জন্য আনা হয় ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প। মহিলা নিরাপত্তার জন্য রাজ্যের দেওয়া ওই ১৭ দফা নির্দেশিকার একটিতে বলা হয়েছিল, যেখানে এবং যত দূর সম্ভব মহিলাদের রাতের শিফ্ট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন