দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে উচ্ছেদ অভিযানের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা। আবেদনকারী ছিলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাট। এরপরেই, গত শনিবার দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ রুখতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল সিপিআইএম দিল্লি রাজ্য কমিটি। তবে, সোমবার তা ফিরিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানান, ‘যদি ঘটনার ভুক্তভোগীরা শীর্ষ আদালতের কাছে আসত, তাহলে তারা এটি নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারত।’
বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিআর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়েছেন, ‘যদি কোনওরকম আইন ভাঙা হয়, তাহলে আমরা হস্তক্ষেপ করব। কিন্তু সেটা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশিত কারণে নয়। এভাবে আপনারা পিটিশন দায়ের করবেন না।’ এরপরেই শীর্ষ আদালত এক নির্দেশনায় জানান, ‘যদি আপনাদের মনে হয়, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাহলে আপনারা হাইকোর্টে যেতে পারতেন। এটি কোনও রাজনৈতিক প্লাটফর্ম নয়।’
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল থেকেই শাহিনবাগে উচ্ছেদ অভিযান ঘিড়ে উত্তাল হয়ে রাজধানী। বিজেপি পরিচালিত দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পথে নামে কংগ্রেস কর্মীসহ সাধারণ মানুষেরা। বুলডোজারের সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। এই বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমানতউল্লাহ খানও। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও আধা সেনা। পরে বুলডোজার সরিয়ে নিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। একইসঙ্গে পুরনিগমের তরফে আদালতকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, ‘কোনও নির্মাণ ভেঙে ফেলা হচ্ছে না।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন