দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি মিলল না অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। তাঁর গ্রেফতার বেআইনি - আপ সুপ্রিমোর এই আবেদনের দ্রুত শুনানি প্রত্যাহার করল শীর্ষ আদালত। ফলত তাঁকে আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে।
সোমবার কেজরিওয়ালের আবেদনের ভিত্তিতে ইডির কাছে রিপোর্ট তলব করে শীর্ষ আদালত। আগামী ২৭ এপ্রিল সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে আপ সুপ্রিমোর মামলাটি। শুনানি চলাকালীন কেজরিওয়ালের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে বলেন, ‘‘আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আর্জি জানাচ্ছি। ইডির গ্রেফতারি ছিল নির্বাচনী প্রচার থেকে কেজরীওয়ালকে দূরে রাখার জন্য।’’ তবে ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, এত তাড়াতাড়ি মামলার তারিখ দেওয়া সম্ভব নয়।
গ্রেফতারি বেআইন, কেজরিওয়ালের এই আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন তিনি। গত বুধবার অর্থাৎ ১০ এপ্রিল শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়। সোমবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ গ্রেফতার করা হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। গত ১ এপ্রিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল।
হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে জানায়, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে ‘মূল চক্রী’ হিসাবে দেখিয়েছে ইডি। পাশাপাশি, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও ওঠে। তাই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি বেআইনি নয়। আপাতত তাঁকে জেল হেফাজতেই থাকতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন