প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার জন্য দিল্লির একটি আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে পবন খেরাকে বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করে আসাম পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য খেরার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের পর পবনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনাকে 'অগণতান্ত্রিক' এবং 'স্বৈরাচারী' বলে অভিহিত করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কংগ্রেস। তারপরেই, পবন খেরাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে, পবনের বিরুদ্ধে সমস্ত এফআইআর এক জায়গায় আনার জন্য আসাম ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার সকালে, ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর যাওয়ার জন্য দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর একটি বিমানে উঠেছিলেন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর সাথে ছিলেন কে সি বেনুগোপাল, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, সুপ্রিয়া শ্রীনাত সহ দলের একাধিক নেতা।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বোর্ডিং পাস থাকা সত্ত্বেও, পবন খেরাকে বিমান থেকে জোর করে নামিয়ে দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের এক আধিকারিক জানান, পবন খেরার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাঁকে বিমানে উঠতে না দেওয়ার নির্দেশনা ছিল তাদের কাছে।
এর প্রতিবাদে বাকি কংগ্রেস নেতারাও বিমান থেকে নেমে যান। বিমানের ঠিক পাশে টারম্যাকে বসেই বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন তাঁরা। 'বিজেপি হায় হায়’ স্লোগান দিতে থাকেন।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে আদানি-হিন্ডেনবার্গ কাণ্ড নিয়ে যৌথ সংসদীয় তদন্তের (JPC) দাবি করার সময় প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর বদলে নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদী বলে অভিহিত করেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করার অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা ডিমা হাসাওতে। দায়ের হয় এফআইআর।
জানা যাচ্ছে, পবনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ১৫৩ এ, ১৫৩ বি (১), ৫০০, ৫০৪, ৫০৫ (১)(২) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন