দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ১৩ মাস পর জামিন পেলেন ধৃত বিনয় বাবু। শুক্রবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিনা বিচারে ১৩ মাস জেলে থাকা যথেষ্ট।
গত বছর নভেম্বর মাসে ফরাসি লিকার কোম্পানি 'পারনড রিকার্ড'-র ভারতীয় আধিকারিক বিনয় বাবুকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। প্রথম ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। পরে সেই মামলাটি দিল্লির আবগারি দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে যায়।
শুক্রবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং এস ভি ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না কেন্দ্রের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, 'এটা কখনই উচিত নয়। একজনকে বিনা বিচারে দীর্ঘ সময়ের জন্য জেলে রাখা যায় না। ইডি এবং সিবিআই-র অভিযোগের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে'।
বিচারপতি এস ভি ভাট্টি বলেন, '১৩ মাস ধরে বিনয় বাবু জেলবন্দি আছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটেও তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। যার ফলে বিচারপ্রক্রিয়াও শুরু হয়নি। সেই কারণেই আমরা বিনয় বাবুর আবেদনে সাড়া দিচ্ছি এবং শীর্ষ আদালত বিনয় বাবুর জামিন মঞ্জুর করছে'।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী অভিষেক বইনপল্লি, আপ নেতা বিজয় নায়ার এবং বিনয় বাবুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। সেই সময় বিনয় বাবুর আর্জি ছিল তাঁকে যেন আর্থিক তছরুপ মামলা থেকে জামিন দেওয়া হয়।
আবার ট্রায়াল কোর্টের পূর্বের পর্যবেক্ষণ ছিল বিনয় বাবুর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে। আর্থিক প্রতারণার অন্যতম মাথা হলেন এই বিনয় বাবু।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন