মণিপুর পুলিশের করা FIR-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন মামলা দায়ের করেছে এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া। বুধবার ওই মামলায় EGI-এর সদস্যদের অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা মঞ্জুর করল শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দিয়েছে। এই নিয়ে মণিপুরের সরকারকে নোটিশও জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মণিপুরের জাতিগত সংঘাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কভারেজ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল এডিটরস গিল্ডের ৩ সদস্যের একটি দল। সেই রিপোর্টকে ‘জঙ্গিদের মদতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিযোগ তুলে EGI-এর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে মণিপুর পুলিশ।
বুধবার পিটিশন মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করে EGI-এর পক্ষের বর্ষীয়ান আইনজীবী শ্যাম ডিভান শীর্ষ আদালতকে জানান, “এই মামলায় অতি দ্রুত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। মূলত, গ্রেফতার ও জোর-জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ থেকে দ্রুত সুরক্ষা চাইছি।” ডিভানের আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে.বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ জানিয়েছে, “আপনি আপনার কাগজপত্র তৈরি করুন। সমস্ত মামলার শেষে আজই ওই মামলা গ্রহণ করা হবে।”
প্রসঙ্গত, EGI-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে একাধিক ছবির মধ্যে একটি বাড়ির ছবি দেওয়া হয়েছিল যেখান থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ছবির নীচে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে এটি একটি কুকি ব্যক্তির বাড়ি। কিন্তু আসলে এটি একজন বন কর্মকর্তার বাড়ি। ওই রিপোর্ট প্রকাশের পরেই ইম্ফলের এক সমাজকর্মী এনগাঙ্গম শরতের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি (IT) আইনের ৬৬এ ধারায় EGI প্রেসিডেন্ট-সহ মণিপুরে যাওয়া তিন সদস্য সীমা গুহ, ভারত ভূষণ, এবং সঞ্জিব কাপুরের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়েছে।
অভিযোগকারীর মতে, এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এডিটরস গিল্ড এই ত্রুটি স্বীকার করেছে এবং X-এ ক্ষমা চেয়েছে এর জন্য।
এডিটরস গিল্ড-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে DIGIPUB, প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া সহ একাধিক মিডিয়া সংগঠন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন