গণপিটুনি প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে? তা জানতে ৬ রাজ্যকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্বঘোষিত গোরক্ষকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গোরক্ষকদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে। কোথাও আবার পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে যে গণপিটুনিতে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। সম্প্রতি বিহারে গোরুর মাংস পচারের অভিযোগে গোরক্ষকরা গণপিটুনি দিয়েছিল। যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে ‘ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন’ নামে এক সংস্থা। ওই মামলার শুনানি শেষে দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্র সহ হরিয়ানা, বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ওড়িশা এই ৬ রাজ্যের সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে গণপিটুনির বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা বিস্তারিত জানাতে হবে আদালতকে। পাশাপাশি কেন্দ্রকেও রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, এই গণপিটুনিতে সোশ্যাল মিডিয়ারও ভূমিকা রয়েছে। মূলত সংখ্যালঘুদের ওপরই অত্যাচার করছে গোরক্ষকরা। ঘটনাটি সত্যিই উদ্বেগজনক। দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
যদিও এর আগেও কেন্দ্রকে গণপিটুনির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। যার মধ্যে ছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও। সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, বিজেপির আমলে গণপিটুনির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তাই নতুন কোনো আইনের প্রয়োজন নেই।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই কথার পরেও একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা সামনে এসেছে। শুধু বিহার নয়, গত মঙ্গলবারই আসামে গোরু চুরির অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে মারে স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। আবার জুন মাসে মহারাষ্ট্রের নাসিকে গোমাংস বহনের অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয় আফান আবদুল মাজিদ আনসারি নামের এক ব্যক্তিকে। গত মার্চ মাসে বিহারের সারণে নাসিম কুরেশি নামক ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গোরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মারধর করে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের একটি দল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন