এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল ‘হিন্দু খতরে মে হ্যায়’ জনস্বার্থ মামলা। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ভারতে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করার জন্য নির্দেশিকা প্রণয়নের জন্য একটি আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে (দাউধরাজ সিং বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া)।
বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল, বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চের সামনে বিষয়টি উঠলে, আদালত নির্দেশ দেয় যে সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীনে এই বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে না। আইন বিষয়ক নিউজ পোর্টাল বার অ্যান্ড বেঞ্চের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল বলেন, "আপনি কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে আপনি যা প্রচার করতে চান তা অন্য সবাইকে অনুসরণ করতে হবে? এইসব বিষয় সরকারের অধীন, আদালতের নয়। তাই এই আবেদন খারিজ করা হল।"
এই আবেদন করেছিলেন দাউধরাজ সিং নামক এক ব্যক্তি। যিনি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর মামলার শুনানি করতে হাজির হন।
এর আগে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি কাউল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই বিষয়েই একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। পরে আবেদনকারী বরখাস্তের আদেশটি প্রত্যাহার করার জন্য আবারও আবেদন করেন।
২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩-এর আদেশে, আদালত এই আবেদনটিকে "সম্পূর্ণভাবে ভুল ধারণা" এবং একটি "প্রচারের স্বার্থে আবেদন" বলে অভিহিত করেছিল।
তখন এই আবেদন সম্পর্কে বলা হয়, "পিটিশনটি সম্পূর্ণরূপে ভুল ধারণা থেকে করা হয়েছে শুধুমাত্র সাধারণ পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে যে হিন্দু ধর্ম বিপদে পড়েছে এবং তা আদালতের কাছ থেকে সুরক্ষা চায়। আবেদনকারী নিজেকে একজন সামাজিক কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন। প্রচারের স্বার্থে এই পিটিশন দাখিল করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী এই আবেদন খারিজ করা হয়েছে।”
এই আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে করা আবেদনকারীর আবেদন আজ আবারও খারিজ করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন