ফের শিরোনামে হিন্দুত্ববাদী নেতা যতি নরসিংহানন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার আবেদন নিয়ে শুক্রবার নোটিশ জারি করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট ও ভারতীয় সংবিধান নিয়ে ধর্মগুরুর ‘কুরুচিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ জানিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন দায়ের করেছিলেন সমাজকর্মী শচী নেল্লি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে নরসিংহানন্দের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার এই পিটিশনের অনুমতি দিয়ে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল জানিয়েছিলেন, নরসিংহানন্দের মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অবমাননাকর এবং তা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব হ্রাসের চেষ্টা। কিন্তু ঠিক কী বলেছিলেন এই হিন্দুত্ববাদী নেতা?
২০২২ সালে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ধর্মগুরু যতি নরসিংহানন্দ জানিয়েছিলেন, “ভারতীয় সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। এই সংবিধান দেশের ১০০ কোটি হিন্দুকে গ্রাস করবে। এই সংবিধানের উপর যারা বিশ্বাস করেন, তাদের হত্যা করা হবে। যারা দেশের এই ব্যবস্থার উপর, এই রাজনীতিবিদদের উপর, সুপ্রিম কোর্টের উপর এবং দেশের সেনাবাহিনীর উপর বিশ্বাস করেন তারা একদিন কুকুরের মতো মারা যাবেন।”
ধর্মগুরুর এই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য নিয়েই সমাজকর্মী শচী নেল্লি সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার পিটিশন দায়ের করেছিলেন। শুক্রবার এই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ-এর বেঞ্চ ধর্মগুরু নরসিংহানন্দের প্রতিক্রিয়া চেয়ে নোটিশ জারি করল।
দেশের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপালের কাছে নরসিংহানন্দের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার অনুমতি চেয়ে শচী নেল্লি জানিয়েছিলেন, “সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এটাই হয়তো আদালতের বিরুদ্ধে সবচেয়ে জঘন্যতম আক্রমণ। এইধরণের মন্তব্যগুলিকে উপেক্ষা করা মানে সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের আইন ব্যবস্থার কর্তৃত্ব হ্রাসের চেষ্টাকে অনুমতি দেওয়া।”
প্রসঙ্গত, সংবাদের শিরোনামে এই হিন্দু ধর্মগুরুর নাম এই প্রথম নয়। এর আগে হরিদ্বারের একটি সভা থেকে ভারতীয় মুসলিমদের গণহত্যার ডাক দিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছিলেন যতি নরসিংহানন্দ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন