উত্তরপ্রদেশের স্কুলে সহপাঠীদের দিয়ে ছাত্রকে চড় মারানোর ঘটনায় এবার রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের। গোটা ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুজফফরনগরের সুপারিডেন্ট অফ পুলিশকে।
পাশাপাশি, বুধবার উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধেও নোটিশ জারি করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জবাব চাইল শীর্ষ আদালত। এই বিষয় নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধীর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আবেদনে সাড়া দিয়েই এমন নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ৪০ সেকেন্ডের ওই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক শিক্ষিকা চেয়ারে বসে রয়েছেন। শিক্ষিকার পাশে এক মুসলিম ছাত্র দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাকে অন্য পড়ুয়ারা পর পর এসে মেরে যাচ্ছে। এমনকি, শিক্ষিকা এক ছাত্রকে তিরস্কারও করেন মুসলিম পড়ুয়াটিকে যথেষ্ট জোরে না মারার জন্য। এবং মুসলিম ছাত্রটি এক নাগাড়ে কেঁদে যাচ্ছে। (পিপলস রিপোর্টার এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)।
সেই মামলার শুনানিতেই বুধবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল মুজফফরনগরের এসপিকে ঘটনার পর ওই শিশুছাত্র ও তার পরিবারের রক্ষার্থে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এসপি আদালতে জানিয়েছেন, হোমওয়ার্ক না করায় মুসলিম ছাত্রকে তার সহপাঠীদের দিয়ে মার খাওয়ানো এবং ওই পড়ুয়ারর ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগীকে গ্রেফতার করেছে মুজফফরনগর পুলিশ। পাশাপাশি, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকেও ঘটনায় যুক্ত থাকার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, তৃপ্তি ত্যাগী নামের অভিযুক্ত এই শিক্ষিকা এই ঘটনাকে সামান্য ছোট ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর জন্য তিনি লজ্জিত নন বলেও জানিয়েছেন। তিনি মিডিয়ার সামনে জানিয়েছেন, শিশুটি হোমওয়ার্ক না করে আসার জন্য অন্য ছাত্রদের ওই পড়ুয়াকে মারতে বলেছেন তিনি। কারণ তিনি প্রতিবন্ধী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন