বুলডোজার ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিশ পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট। যোগী সরকারের এই বুলডোজার নীতির সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত বলে, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এভাবে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তিনদিনের মধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত হলফনামা সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। পাশাপাশি কানপুর এবং প্রয়াগরাজ পুরাসভাকেও হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানোয় ওয়েলফেয়ার পার্টির নেতা মহম্মদ জাভেদকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এর একদিন পরেই প্রয়াগরাজে জাভেদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আবেদন জানিয়েছিল জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের অবকাশকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বলে, "সবকিছুই ন্যায্য ভাবে করা উচিত। দেশে যে আইনের শাসন রয়েছে সে বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে একটি বোধ থাকতে হবে। সরকার কর্তৃপক্ষ সবসময় আইন মেনে কাজ করবে, এমনটাই আশা করি আমরা। প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে গিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া যায় না। এরপর যেন আর অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করুন।"
ভাঙনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি না করে বিচারপতিরা বলেন, "আমরা ভাঙনের উপর স্থগিতাদেশ দিতে পারি না। আমরা শুধু বলতে পারি আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে সকলকে।"
মামলার শুনানি চলাকালীন আবেদনকারীর পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থিত থাকা অ্যাডভোকেট চন্দর উদয় সিং একাধিক উদাহরণ পেশ করে দাবি করেন, ডেমোলিশনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে বারবার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে এবং এই ডেমোলিশন প্রক্রিয়াটি ভয়াবহ। জরুরী অবস্থার সময়ও দেশে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশ নগর পরিকল্পনা এবং ডেভেলপমেন্ট আইনের ২৭ নম্বর ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী বাড়ি ভাঙার ১৫ দিন আগে নোটিশ পাঠাতে হয় কর্তৃপক্ষকে। এখানে এরকম কোনো নোটিশ পাঠানো হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন