ফের দেশের শীর্ষ আদালতে খারিজ হল মহার্ঘ ভাতা অথবা ডিএ মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করা রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা দ্রুত শুনানির আর্জি করেছিলেন। শুক্রবার সকালে সেই আর্জি খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি।
কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার পক্ষে রায় দিলে হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় সরকার। গত ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি দাখিল করা হয়। এই মামলার প্রথম শুনানি হয় সেই বছরই ২৮ নভেম্বর। রাজ্য সকারের পক্ষ থেকে সওয়াল করেন আইনজীবি মুকুল রোহতগি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় পরবর্তী শুনানি ৫ ডিসেম্বরেই এই মামলাটি শেষ হবে। তবে পরে রাজ্য আইনজীবী বদল করে অভিষেক মনু সিঙঘভিকে দায়িত্ব দেয়। এর পর একের পর এক তারিখ দেওয়া হলেও নানা কারণে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। গত ১৪ জুলাইয়ে নবম বার পিছিয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ দেওয়া হয় ৩ নভেম্বর। এরপর রাজ্য সরকারী কর্মচারিরা দ্রুত শুনানির আবেদন করলে আজ ফের তা খারিজ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২–এর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে ৩১ শতাংশ ডিএ দেওয়ার রায় ঘোষণা করা হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের যুক্তি ছিল, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই মুহূর্তে বহন করা কঠিন। তবে বর্তমানে কেন্দ্রের তরফে বাড়ানো হয়েছে আরও চার শতাংশ ডিএ। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ২৪ মার্চের ঘোষণায় ১ জানুয়ারি থেকে মিলেছিল বর্ধিত ডিএ। তাতে কেন্দ্রের ডিএ বেড়ে হয়েছিল ৪২ শতাংশ। এখন তা চার শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৬ শতাংশ। ফলে এখন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ফারাক বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ না-দেওয়ার জন্য নবান্নের বিরুদ্ধে একটি আদালত অবমাননার মামলাও করা হয়। তবে সেটির শুনানি আপাতত কলকাতা হাই কোর্টে স্থগিত রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন