বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো চালিয়ে যেতে পারবেন হিন্দুরা। মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে সোমবার এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে এলাহবাদ হাইকোর্ট ও বারাণসী জেলা আদলতের পক্ষ থেকে পুজো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম পক্ষ।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন, জ্ঞানবাপী চত্বরে স্থিতিবস্থা বজায় থাকবে। অর্থাৎ, মন্দির চত্বরে হিন্দুরা পুজো ও মুসলিমরা নামাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। এই মামলার নিরসনের কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কমিটির মত জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে আদালতের তরফ থেকে।
গত ১ ফেব্রুয়ারী বারাণসী জেলা আদালতের ও ২৬ ফেব্রুয়ারী এলাহবাদ হাইকোর্ট জ্ঞানবাপী মসজিদে চত্বরে পুজো করার অনুমতি দিয়েছিল। এই নির্দেশদ্বয়ে আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। সেই মামলার রায় ঘোষণা হল সোমবার।
মামলা দায়ের করার সময় মুসলিম পক্ষের যুক্তি ছিল, ১৯৩৭ সালে জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত বিবাদের রায় মুসলিমদের পক্ষেই গিয়েছিল। এই আবহে আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে নতুন করে এখানে সমীক্ষাই চালাতে পারে না। এমনকী বারাণসী আদালতের নির্দেশে করা ‘অ্যাডভোকেট কমিশনার’-এর রিপোর্টকে উপেক্ষা করেই পুজোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয় আবেদনে। তাঁদের দাবি, ১৯৯৩ সালের আগে জ্ঞানবাপী চত্বরের কোথাও পূজার্চনা বা আরতির কোনও প্রমাণ হিন্দুপক্ষ দিতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কয়েকজন হিন্দুত্ববাদী মহিলা এই জ্ঞানবাপী মসজিদের নির্মাণ সম্পর্কে বিশদে জানতে চেয়ে আদালতে মামলা করেন। তাঁদের দাবি ছিল, ওই স্থানে অতীতে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। সপ্তদশ শতকে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে সেই মন্দির ভেঙে সেখানেই জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন