PM's Degree Row: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে খারিজ কেজরীওয়ালের আবেদন

People's Reporter: এই মামলার প্রেক্ষিতে গত বছর ১১ আগষ্ট অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং সঞ্জয় সিংকে মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অরবিন্দ কেজরীওয়াল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অরবিন্দ কেজরীওয়ালফাইল ছবি, গ্রাফিক্স - আকাশ
Published on

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এর প্রেক্ষিতে কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিল গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল নিম্ন আদালত। সেই সমন বাতিলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আপ প্রধান। সোমবার শীর্ষ আদালত কেজরীওয়ালের সেই আবেদন খারিজ করল।

এক সাংবাদিক বৈঠকে কেজরীওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিশেষ করে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রি নিয়ে। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সার্টিফিকটেের কপি দেখাতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় তা দেখায়নি। উল্টে কেজরীওয়াল এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে ফৌজিদারি মানহানির মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ প্যাটেল।

এই মামলার প্রেক্ষিতে গত বছর ১১ আগষ্ট অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং সঞ্জয় সিংকে মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছিল। সেই আবেদন খারিজের জন্য গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরীওয়াল। কিন্তু গুজরাট হাইকোর্ট কেজরীওয়ালের আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হল।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল শীর্ষ আদালতের একটি পৃথক বেঞ্চ সঞ্জয় সিংয়ের আবেদন খারিজ করে দেয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ সেই প্রসঙ্গ টেনে কেজরীওয়ালের আবেদন খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না।

উল্লেখ্য, দিল্লি এবং গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির প্রতিলিপি চেয়েও না-পেয়ে কেজরীওয়াল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার (সিআইসি)-র দ্বারস্থ হন। ২০১৬ সালের এপ্রিলে সিআইসি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সম্পর্কে বিশদে প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। এরপর গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তিন মাস পরে জুলাই মাসে গুজরাট হাইকোর্ট সিআইসি আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। আপ প্রধানও পাল্টা একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বা অন্য কোথাও পাবলিক ডোমেনে পাওয়া যায়নি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in