কয়লা পাচার কাণ্ডে অবশেষে ইডির তলবে সাড়া দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারই তিনি দিল্লি পৌঁছে যান। সোমবার ইডির দফতরে হাজিরা দেন। বেলা ১১টা নাগাদ ইডি-র দফতরে পৌঁছন তিনি।
তবে সাড়া দিয়েছেন বলে চুপ করে বসে নেই। ইডি-র এই সমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করেছিলেন তাঁরা। আদালত সেই দাবিকে মানেনি। আবেদন এদিন ফিরিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
কয়লা পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে অভিষেক ও রুজিরার। তাদের বেশ কয়েকবার দিল্লিতে তলব করা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে সন্তানদের নিয়ে দিল্লি যেতে অস্বীকার করেন তিনি। তা নিয়ে জলঘোলা অভিযোগ কম হয়নি। কেন্দ্রের দুই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি এই দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে। স্বামী-স্ত্রী দু'জনকেই সোমবার দিল্লিতে ফের ডেকে পাঠায় ইডি। পাল্টা অভিষেক ইডির এই সমনকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে কটাক্ষ করেছেন।
রবিবার কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেক বলেন, 'নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে আমি আত্মসমর্পণ করব না, মাথা নত করব না। যাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে, কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁরাই আজ বিজেপির বড় নেতা। তাঁদের সিবিআই-ইডি ডাকে না। এই কারণেই তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।'
কয়লা কাণ্ডে বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের যোগ রয়েছে প্রভাবশালীদের। এমনই অভিযোগ। কয়লাকাণ্ডে ফেরার বিনয় মিশ্রের সঙ্গে অভিষেকের যোগাযোগ থাকাও তাঁর বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তদন্তকারী অফিসাররা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন