১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৬১-এ (Article 61A) ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে যে মমলা হয়েছে, তা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বর্তমানে ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM)-এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ছাড়া সকল ক্ষেত্রেই EVM চালু আছে। আর এটি করা হয়েছে- জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৬১-এ ধারাকে সামনে রেখে।
আইনজীবী এম এল শর্মা শীর্ষ আদালতে অভিযোগ করেন, 'জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৬১-এ ধারা সংবিধানের পরিপন্থী।' তিনি বলেন, 'আমি চ্যালেঞ্জ করেছি, এই ধারাটি লোকসভা বা রাজ্যসভায় ভোটের মাধ্যমে পাস হয় নি।'
তবে, এই EVM-সংক্রান্ত মামলা খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি এস কে কৌল এবং এম এম সুন্দরেশের বেঞ্চ। এদিন মামলাকারী আইনজীবীর কাছে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানতে চায়, 'আপনি কি হাউসকে (সংসদ) চ্যালেঞ্জ করছেন? আপনি কি সাধারণ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করছেন? আপনি কী চ্যালেঞ্জ করছেন?'
জবাবে, আইনজীবী এম এল শর্মা বলেন, তিনি আইনের ৬১-এ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করছেন, যে ধারা EVM ব্যবহারের অনুমতি দেয়। চালেঞ্জের কারণ, এটি ভোটের মাধ্যমে হাউসে (সংসদে) পাস হয়নি। এরপরেই মৌখিকভাবে বেঞ্চ জানায়, 'আমরা মামলার কোন মেরিট খুঁজে পাচ্ছি না।'
সাম্প্রতিককালে, একাধিক নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে কারচুপি অভিযোগ উঠেছে। দাবি করা হয়েছে, EVM হ্যাক করে বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই হেরফেরি হয়েছে। চলতি বছরের ৯ মার্চ রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, 'EVM-এ কারচুপির রিপোর্ট খুবই গুরুতর।'
১৯৯৯ সাল থেকে ভারতের সাধারণ এবং বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে EVM-এর ব্যবহার শুরু হয়। কাগজবিহীন এই ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে ভোটদান এবং ভোট গণনার কাজ অতীতের ব্যালট ব্যবস্থার চেয়ে অনেক দ্রুত হয়।
EVM-কে মান্যতা দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI)। একইসঙ্গে, ECI দাবি করেছে, EVM সম্পূর্ণ নিরাপদ। কোনভাবেই একে প্রভাবিত (হ্যাকিং অথবা অন্যান্য অবৈধ উপায়সমূহ) করা যায় না। এতে নথিবদ্ধ ভোটের হিসাব কোনভাবেই অদল-বদল করা সম্ভব নয়।
যদিও সাম্প্রতিক মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে জাতিপুর কেন্দ্রের ১২৪ নম্বর বুথে সরকারি খাতা এবং ইভিএম-এর হিসেবে ভোটদানের হিসেবে ফারাক আছে ৪৫টি ভোটের। যা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন