সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। আবগারি দুর্নীতিতে ৩০০ কোটিরও বেশি আর্থিক তছরুপের প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় আপ নেতার জামিনের আবেদন খারিজ করলো দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে এখনও আপাতত ৩ মাস তাঁকে জেলে থাকতে হবে।
সোমবার শীর্ষ আদালতে মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এস ভি এন ভাটির বেঞ্চে। কিন্তু দুই বিচারপতির বেঞ্চ আপ নেতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেনি। বিচারপতিরা জানান, "আমরা বেশ কিছু আইনি প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু তার সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি ৩৩৮ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। সেই জন্যই মণীশ সিসোদিয়াকে জামিন দেওয়া যাবে না"।
পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেন, "তদন্তকারী সংস্থাকে ৬-৮ মাসের মধ্যে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। এই সময়ে যদি মণীশ সিসোদিয়ার মনে হয় যে তদন্ত প্রক্রিয়া বা বিচার প্রক্রিয়া ধীর গতিতে এগোচ্ছে তাহলে আগামী ৩ মাস পর তিনি ফের জামিনের আবেদন করতে পারবেন"।
আদালতের এই রায়ের পরই আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও গ্রেফতারির দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। তিনি বলেন, 'আদালতের নির্দেশে এটা স্পষ্ট যে আপ নেতারা দুর্নীতির সাথে জড়িত। সমস্ত নেতা দ্রুত ধরা পড়বে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও গ্রেফতার করতে হবে কারণ আপ নেতৃত্ব আবগারি দুর্নীতির সাথে যুক্ত'।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আবগারি দুর্নীতিতে মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপরই ২৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠায় সিসোদিয়াকে তিহার জেলে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতেও গ্রেফতার হন ওই আপ নেতা। মে মাসে দিল্লি হাইকোর্টে সিবিআই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সিসোদিয়া জামিনের আবেদন করলেও তা মেলেনি। জুলাই মাসে আর্থিক তছরুপ মামলাতেও জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন