করবেটে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংসের অভিযোগে উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন বনমন্ত্রী হরক সিং রাওয়াত এবং প্রাক্তন বন বিভাগের সচিব কিষাণ চাঁদকে তীব্র ভর্ৎসনা করল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ বিপুল পরিমাণ গাছ কাটার ফলে নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র।
বুধবার করবেট ব্যাঘ্র প্রকল্পে বনাঞ্চল ধ্বংসের মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি পি কে মিশ্র-র বেঞ্চ জানায়, করবেটে বিপুল পরিমাণ গাছ কেটে অরণ্যকে ধ্বংস করা হয়েছে। যেভাবে গাছ কাটা হয়েছে তা কার্যত বেআইনি। এই ঘটনায় এক রাজনৈতিক নেতার সাথে এক আমলাও জড়িত।
রাওয়াত এবং চাঁদের তীব্র সমালোচনা করে বেঞ্চ জানায়, সরকারি আমলা এবং রাজনীতিকরা মিলে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাকে জঞ্জালের স্তুপে ছুঁড়ে ফেলেছে।
আদালত জানায়, বেশ কিছু শর্তের বদলেই টাইগার সাফারি পার্কের অনুমতি দেওয়া হবে। ওই সাফারি পার্কে উদ্ধার করা এবং আহত বাঘদের রাখা যাবে। সরকারকে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মামলাকারী পরিবেশ কর্মী তথা আইনজীবী গৌরব বনশাল আদালতে অভিযোগ করেন, করবেট ব্যাঘ্র প্রকল্পে ব্যাপকহারে দুর্নীতি হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী এবং প্রাক্তন সচিব মিলে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছিলেন। যাতে সেখানে একাধিক বেআইনি নির্মাণ গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
এমনকি জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে রাওয়াত ও চাঁদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির প্রমাণও দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে রয়েছে, ব্যাঘ্র প্রকল্পের আড়ালে বনভূমি ধ্বংস করেছেন ওই দুই অভিযুক্ত। তবে এর সাথে আর কারা যুক্ত আছেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের (২০১৭-২০২২) বন মন্ত্রী ছিলেন হরক সিং রাওয়াত। সেই সময়ই বন বিভাগের আধিকারিক ছিলেন কিষাণ চাঁদ। ২০২২ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন হরক সিং রাওয়াত। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছিলেন, পরিবেশ কর্মী তথা আইনজীবী গৌরব বনশাল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন