নির্বাচনী বন্ড জমা করার পরেও শীর্ষ আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়লো স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই। আদালতের পর্যবেক্ষণ নির্বাচন কমিশনের কাছে ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে পূর্ণ তথ্য পেশ করেনি এসবিআই।
সুপ্রিম নির্দেশের পর নির্বাচন কমিশনের কাছে ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য জমা করতে বাধ্য হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। পেশ করা তথ্য বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেশের নির্বাচন কমিশন। সেই তথ্য দেখে অসন্তুষ্ট হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এসবিআই-র উচিত ছিল নির্বাচনী বন্ডের নম্বর প্রকাশ্যে আনা। কিন্তু সেটা করেনি তারা। নির্বাচনী বন্ডের নম্বর দিলে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হতো।
কমিশনের ওয়েবসাইটে দুই দফায় তথ্য আপলোড করা হয়েছে। যার মধ্যে একদফায় আছে ইলেক্টোরাল বন্ড কেনা সংক্রান্ত তথ্য। যেখানে কোন তারিখে কে ওই ইলেক্টোরাল বন্ড কিনেছে এবং কত টাকার বন্ড কেনা হয়েছে তার উল্লেখ আছে।
দ্বিতীয় দফায় কোন কোন রাজনৈতিক দল কোন তারিখে কত টাকার ইলেক্টোরাল বন্ড ভাঙিয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য আছে। উল্লেখযোগ্যভাবে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা কোন রাজনৈতিক দলকে কত টাকার বন্ড দিয়েছেন সেই সম্পর্কিত কোনও যোগসূত্র এখানে দেখানো হয়নি।
নির্বাচনী বন্ডের তথ্যে দেখা যাচ্ছে সবথেকে বেশি বন্ড কিনেছে মার্টিন সান্তিয়াগোর সংস্থা 'ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস'। তারা ১৩৬৮ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে। তারপর রয়েছে তেলুগু ব্যবসায়ী কৃষ্ণা রেড্ডির সংস্থা 'মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড' (৯৬৬ কোটি)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্রের ক্যুইক সাপ্লাই চেন প্রাইভেট লিমিটেড (৪১০ কোটি)। চতুর্থ স্থানে আছে ভেদান্ত লিমিটেড (৪০০ কোটি)। ৩৭৭ কোটি ব্যয় করে পঞ্চম স্থানে রয়েছে হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন