এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ এখনই চাকরী যাচ্ছে না ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর। এখনই ফেরত দিতে হবে না বেতনও। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই। জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। পাশপাশি, নিয়োগে অতিরিক্ত শূন্যপদে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই। তবে চাকরী অবৈধ প্রমাণিত হলে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের ১২ শতাংশ সুদে টাকা ফেরত দিতে হবে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার সকাল থেকে এসএসসি মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি হয়।
শুনানিতে সব পক্ষের সওয়াল শোনার পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাঁদের সংক্ষিপ্ত রায়ে জানায়, “এসএসসি যোগ্য-অযোগ্যদের বিভাজন করতে পারলে পুরো প্যানেল বাতিল নয়। পুরো প্যানেল বাতিল হলে, তার অভিঘাত অস্বীকার করতে পারবে না আদালত। যোগ্যদের চিহ্নিত করতে পারলে চাকরী বহাল থাকবে। অযোগ্যদের ১২ শতাংশ সুদে বেতন ফেরত দিতে হবে।“
অন্যদিকে, অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই। যারা প্যানেলের বাইরে থেকে চাকরী পেয়েছেন, প্যানেল উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরী পেয়েছে্ন এবং যারা সাদা খাতা জমা দিয়েছেন, সেই সমস্ত অবৈধ চাকরি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। আগামী তিনমাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে।
উল্লেখ্য, আজ শুনানিতে এসএসসি আদালতে জানিয়েছিল যোগ্য-অযোগ্যদের বিভাজন করতে পারবে তারা। তারপরই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৬ জুলাই এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন