দলত্যাগী বিধায়ক মুকুল রায়ের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবার বিষয়ে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষকে জানালো সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকারকে মুকুল রায়ের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
এদিন বিচারপতি এল. নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি ভি নাগারথনার বেঞ্চ বিষয়টিকে আগামী জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। দলত্যাগ বিরোধী আইনের অধীনে দলত্যাগী বিধায়কদের অযোগ্যতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরীর বিষয়ে বেঞ্চ মৌখিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্পিকার ২১ ডিসেম্বর অযোগ্যতার আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়।
এদিন শুনানির শুরুতে, বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৌঁসুলিকে জিজ্ঞাসা করে গত ৭ অক্টোবর হাইকোর্ট কোনো আদেশ দিয়েছে কিনা। কৌঁসুলি শীর্ষ আদালতকে জানান, সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের কারণে বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে।
এদিন বেঞ্চ উল্লেখ করে, এমন অনেকগুলি মামলা রয়েছে যেখানে স্পিকার বিলম্ব করছেন। এসব ক্ষেত্রে আদালতকে প্রায়শই দূরে থাকতে বলা হচ্ছে এবং স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
সোমবার শীর্ষ আদালতে বিভিন্ন পিটিশনের শুনানি চলছিলো। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পীকারের একটি পিটিশনও অন্তর্ভুক্ত ছিল। যে পিটিশনে অধ্যক্ষ সংবিধানের দশম তফসিলের অধীনে মুকুল রায়ের অযোগ্যতা বিবেচনা করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জানান। গত সেপ্টেম্বরে, হাইকোর্ট স্পীকারকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে মুকুল রায়কে অযোগ্য ঘোষণার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলে। আদালত জানিয়েছিলো, অন্যথায় আদালতই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ের দায়ের করা এক আবেদনে হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেয়।
আবেদনে, কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বিধানসভার PAC (পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি) চেয়ারম্যান হিসাবে মুকুল রায়ের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই পিএসি চেয়ারম্যান পদ বিরোধী দলের নেতার জন্য সংরক্ষিত। মুকুল রায় ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হবার পর গত ১১ জুন তিনি বিজেপি ছেড়ে ফের টিএমসি-তে যোগ দেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন