বিলকিস বানো মামলায় আবেদনের শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালত।
২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে খুন করা হয়। কিন্তু, ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট, ভারতের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন বিলকিস গণধর্ষণ মামলায় ১১ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের ছেড়ে দেয় গুজরাট সরকার। বুধবার, এই আসামীদের ‘অকাল মুক্তির’ বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
জানা যাচ্ছে, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করবে শীর্ষ আদালত। এ নিয়ে বিলকিস বানোকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমা ও জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমি একটি বেঞ্চ গঠন করব। আজ সন্ধ্যায় এই বিষয়টির দিকে নজর দেব আমি।'
গত ২৪ জানুয়ারি, ১১ জন গণধর্ষকদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্বিতীয়বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো। বুধবার, বানোর সেই আবেদন গ্রহণ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার পর তোলপাড় হয় সারা দেশ। গুজরাট এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বারবার কাঠগড়ায় তোলে বিরোধীরা। ১১ জন ধর্ষকের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিআইএল জমা দেন সিপিআই(এম) নেত্রী সুভাষিণী আলি, স্বাধীন সাংবাদিক রেবতী লাউল এবং লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপ রেখা ভার্মা সহ আরও অনেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন