অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে মিলল কিছুটা স্বস্তি। ‘মোদী’ পদবী মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের ২ বছরের কারাবাসের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে করা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধীর আবেদন শুনবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ২১ জুলাই রাহুলের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে এই আবেদন শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্ণাটকের একটি জনসভায় রাহুল গান্ধী ‘মোদী’ পদবী নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “কীভাবে সব চোরদের পদবী মোদী হয়?” রাহুল এই মন্তব্য ‘পলাতক’ ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও ললিত মোদীকে আক্রমণ করে করেছিলেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা এই মন্তব্যের সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামের যোগসূত্র খুঁজে পেয়ে ব্যাপক চটেছেন। এই নিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে সুরাতের আদালতে মামলা করেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ মার্চ তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে ২ বছরের কারাবাসের শাস্তি দেন বিচারপতি।
আইন অনুযায়ী, কোনও সাংসদ ২ বছর বা তার বেশি সময় কারাদণ্ডের শাস্তি পেলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও তাই হল। আদালতের রায় শোনানোর পরেই রাহুলের সাংসদপদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
সুরাতের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টে যান রাহুল। কিন্তু সেখানেও বিচার মেলেনি। গত ৭ জুলাই সুরাত আদালতের রায় বহাল রেখে স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ।
গুজরাট হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত ১৫ জুলাই সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার রাহুলের সেই আবেদন শুনে দেখবে বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন রাহুলের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের আবেদনটি শুনানির জন্য ২১ জুলাই শুক্রবার কিংবা ২৪ জুলাই সোমবার তালিকাভুক্ত করার আর্জি জানান। প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় সিঙ্ঘভকে শুক্রবার ওই আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন