মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে ভিক্টোরিয়া গৌরীর নাম সুপারিশ করেছিল কলেজিয়াম (Sl No-3)। তাতে ছাড়পত্র দিয়েছে মোদী সরকার। গৌরীর এই নিয়োগের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চেন্নাইয়ের আইনজীবীদের একাংশ।
তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক গৌরী, মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হলে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা খর্ব হবে। কারণ, অতীতে গৌরীর করা মন্তব্য দেশের সংখ্যালঘুদের আঘাত করেছিল। আর, এই অভিযোগ ঘিরে মামলা শুনতে রাজি হয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI D.Y. Chandrachud)। আগামীকাল, এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারী এই মামলার শুনানি দিন ধার্য করেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু আইনজীবীরা দ্রুত শুনানি চেয়ে ফের আবেদন করলে আগামীকালই শুনানিতে রাজি হয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, 'কিছু বিষয় সামনে এসেছে। আমাদের সুপারিশের পর যে বিষয়টি নজরে এসেছে, তা কলেজিয়াম বিবেচনায় নিয়েছে।'
প্রসঙ্গত, বিচারপতিদের নিয়োগ করে কলেজিয়াম। সেই কলেজিয়ামে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচাপতি সঞ্জয় কিষাণ কল, বিচারপতি কে এম জোসেফ। গত ১৭ জানুয়ারি, মাদ্রাজ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে ভিক্টোরিয়া গৌরী সহ আরও চার জনের নাম প্রস্তাব করেন তাঁরা। আর, এই তালিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র।
জানা যাচ্ছে, সিনিয়র আইনজীবী রাজু রামচন্দ্রনের আবেদনের ভিত্তিতে ভিক্টোরিয়া গৌরীর নিয়োগ নিয়ে জরুরি শুনানিতে রাজি হয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পি.এস. নরসিমহা ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা-র বেঞ্চ।
জানা যাচ্ছে, বিচারপতি পদে গৌরীর নামের সুপারিশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামকে চিঠি দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বার কাউন্সিলের সদস্যরা।
তাতে লেখা হয়েছে, গৌরী অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হলে বিচার বিভাগের ‘স্বাধীনতা খর্ব’ হবে। কেন এই অভিযোগ তাঁরা করছেন, তা বোঝাতে গৌরীর দু'টি সাক্ষাৎকারের ইউটিউব লিঙ্কও পাঠানো হয়েছে চিঠির সঙ্গে। যেখানে 'লাভ জিহাদ' ও অবৈধ ধর্মান্তর সহ মুসলিম ও খ্রিস্টানদের সম্পর্কে 'আপত্তিকর' মন্তব্য করেছিলেন গৌরী।
এছাড়া, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) একটি বইয়ে গৌরীর একটি লেখা প্রকাশিত হয়। যে লেখার শিরোনাম ছিল - 'খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরকরণ সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে'। সেই লেখাও চিঠির সঙ্গে পাঠিয়েছে মাদ্রাজ বার অ্যাসোসিয়েশন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন