গণপিটুনি ও ঘৃণা সূচক বাক্য রুখতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? তা জানতে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করলো সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এসব পর্যবেক্ষণের জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ হয়েছে কিনা তাও কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনি ও ঘৃণাভাষণ নিয়ে নজরদারি চালাতে রাজ্যের জেলাগুলিতে সুপার মর্যাদার পুলিশ আধিকারিকদের নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে কিনা তা জানতে চায় বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এসভিএম ভট্টির বেঞ্চ। নোডাল অফিসার নিয়োগ হয়েছে কিনা এবং হলেও তাঁরা কী কী কাজ করেছেন তা কেন্দ্রকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবে রাজ্যগুলি।
সুপ্রিম কোর্ট নোডাল অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি নির্দেশ দিয়েছিল সমস্ত রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সভাগুলিতে সিসিটিভি লাগাতে ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতে। ওই ভিডিও ফুটেজ পরবর্তীকালে খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ায় যেতে পারে। কিন্তু ২০১৮ সালের সেই নির্দেশ কতটা কার্যকর করতে পেরেছে প্রশাসন তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত গত মাসেই গণপিটুনির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে ‘ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন’ নামে এক সংস্থা। ওই মামলার শুনানি শেষে দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্র সহ হরিয়ানা, বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ওড়িশা এই ৬ রাজ্যের সরকারকে নোটিশ পাঠায়। নোটিশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে গণপিটুনির বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা বিস্তারিত জানাতে হবে আদালতকে। পাশাপাশি কেন্দ্রকেও রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন