দলের নাম ও প্রতীক নিয়ে আবারও ফ্যাসাদে পড়লেন উদ্ধব ঠাকরে। সুপ্রিম কোর্টে এবার নাকচ হয়ে গেল শিবসেনার নাম ও প্রতীকের দখল নিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর করা আবেদনের দ্রুত শুনানির অনুরোধ। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মঙ্গলবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, উদ্ধব ঠাকরের করা আবেদনের দ্রুত শুনানির তারিখ দিতে পারবে না আদালত।
মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বাহিনীকে ‘শিবসেনা’ নাম ও ‘তীর-ধনুক’ প্রতীকের স্বত্ব দিয়ে দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হন বালাসাহেব পুত্র উদ্ধব। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর তরফের আইনজীবী অমিত আনন্দ তিওয়ারি শীর্ষ আদালতের কাছে এই আবেদনের দ্রুত শুনানির অনুরোধ জানান। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে.বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ তা নাকচ করে দিয়ে জানিয়েছে, “জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক বেঞ্চ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, তারপর একটি নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হবে।”
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও তাঁর শিবিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা অযোগ্যতার প্রক্রিয়া নিয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পীকার রাহুল নারওয়েকার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছেন বলে অভিযোগও করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু উদ্ধব শিবিরের সেই আবেদনের শুনানিও জরুরীভিত্তিতে করা যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, এই মামলায় আগেই ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে স্পীকার ও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে চেয়েছিল বিচারপতিদের বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, একনাথ শিন্ডে ও তাঁর বাহিনীকেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ‘আসল’ শিবসেনা-এর তকমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে যান উদ্ধব ঠাকরে। তবে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ স্থগিত করে দেওয়ার আবেদন অস্বীকার করে। কিন্তু এই বিষয়ে পিটিশন দায়ের করার অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। দায়ের করা পিটিশনে উদ্ধব শিবির দাবি করে, নির্বাচন কমিশন তাঁদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। দলীয় প্রতীক নিয়মের ১৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যা সাংবিধানিক মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করার সমান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন