পুড়ছে একের পর এক জঙ্গল। সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, এদিন এক যোগে রাজ্য ও কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। প্রশ্ন তোলা হল, দমকল কর্মীদের ভোটের দায়িত্বে পাঠানো নিয়ে।
দাবানলে পুড়ছে উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকটি জঙ্গল। সেই আগুন জঙ্গল পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে লোকালয়েও। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই এলাকার মানুষ। দমকলকর্মীদের আগুন নেভানোর উপযুক্ত সরঞ্জাম ছাড়াই আগুন নেভেতে যেতে দেখা যায়। এর ফলে প্রাণহানিও হয়েছে। সেই প্রাণহানির কথা উল্লেখ করেই মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এসভিএন ভাট্টি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। শুনানি চলাকালীন রাজ্য ও কেন্দ্রকে একযোগে ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বর মাস থেকে দাবানলের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় উত্তরাখণ্ডে। যার ফলে এখনও পর্যন্ত ৯১০ টি জঙ্গলে আগুন লাগার খবর মিলেছে। এর ফলে বন দফতরের ১১৪৫ হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে। আর এই সবটাই মানুষসৃষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার শুনানিতে আদালতে রাজ্য জানায়, সেই দাবানলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের কাছে প্রাথমিক ভাবে ১০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মিলেছে মাত্র ৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা।
যা শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতি। কেন্দ্রকে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। কেন রাজ্য সরকারকে পর্যাপ্ত তহবিল দেওয়া হয়নি?’’ চলতি লোকসভায় দমকলকর্মীদের পাঠানো হয়েছে ভোটের কাজে। যা নিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ‘‘এই অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতির মধ্যেও কেন দমকলকর্মীদের ভোটের কাজে পাঠানো হয়েছে?’’ মুখ্যসচিব জানায়, ইতিমধ্যেই বনকর্মীদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যকে উদ্দেশ্য করে আদালত জানায়, ‘‘এটি খুবই দুঃখজনক পরিস্থিতি। আপনারা শুধু অজুহাত তৈরি করছেন।’’ গত সপ্তাহেও এই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে আদালত বলেছিল, ‘‘আগুন নেভানোর জন্য কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র বৃষ্টির উপর নির্ভর করে থাকতে পারেন না।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন