রবিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন কেরালার একমাত্র বিজেপি সাংসদ সুরেশ গোপী। এরপর সোমবার জল্পনা ছড়ায় মন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন তিনি। দেশের মূলধারার বহু সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। যদিও তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে গোপী জানান, তিনি মন্ত্রীত্ব পদ ছাড়ছেন না।
সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে (পূর্বতন ট্যুইটার) পোষ্ট করে সুরেশ গোপী লেখেন, “কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ভুল খবর ছড়াচ্ছে, যে আমি মোদী সরকারের মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে চাইছি। এই খবর সম্পূর্ণভাবে ভুল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজীর নেতৃত্বে আমরা কেরালার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।“
এর আগে এদিন সকালে ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে সুরেশ গোপী জানান, “আমার মূল লক্ষ্য একজন সাংসদ হিসেবেই কাজ করা। আমি কিছুই চাইনি। আমি বলেছিলাম যে আমার এই পদের প্রয়োজন নেই। আমি মনে করি, খুব শীঘ্রই এই পদ থেকে অব্যাহতি পেয়ে যাব। ত্রিশুর ভোটারদের সাথে কোনও সমস্যা নেই। তাঁরা এটা জানেন যে একজন সাংসদ হিসেবে আমি তাঁদের জন্য সত্যিই ভালো কাজ করবো। যে কোনো মূল্যে আমাকে আমার ছবি করে যেতে হবে।"
কেরালাতে বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করতে সুরেশ এবং কুরিয়ানকে বাড়তি গুরত্ব দিচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। মূলত ২০২৬ কেরালা বিধানসভা নির্বাচনের উপর গুরুত্ব দিতেই এখান থেকে দুজনকে মন্ত্রী করা হয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ। ২০২১ সালে কেরালায় ১৪০টি আসনের মধ্যে ৯৯টি জিতেছিল এলডিএফ, ৪১টি আসন যায় ইউডিএফ-র ঝুলিতে। একটিও আসন পায়নি বিজেপি। এমনকি ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে দখলে থাকা ১টি আসনও খোয়াতে হয়েছিল বিজেপিকে।
উল্লেখ্য, কেরালার একমাত্র জয়ী বিজেপি সাংসদ হলেন সুরেশ গোপী। ত্রিশূর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ লক্ষ ১২ হাজার ৩৩৮। ৭৪ হাজার ৬৮৬ ভোটে হারিয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী আইনজীবী ভি এস সুনীল কুমারকে। ওই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী কে মুরলীধরণ। তিনি পেয়েছেন ৩ লক্ষ ২৮ হাজার ১২৪টি ভোট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন