কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাটের হত্যা কান্ডের জেরে এবার নড়েচড়ে বসেছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। পণ্ডিত খুনে জড়িত তিন জঙ্গিকে গুলি করে খতম করেছে সেনারা। আরও দুই জঙ্গির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এছাড়া পণ্ডিত হত্যার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট তৈরি করেছে রাজ্য প্রশাসন। এবার, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সক্রিয়তা রুখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (KUTA) নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।
কেন এই ভাবনা? এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (KUTA) একটি অংশ সুচিন্তিতভাবে জঙ্গি-বিচ্ছিন্নতাবাদী নেটওয়ার্কের উন্নতি এবং তা টিকিয়ে রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর মাধ্যমে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলিছে। তাই সরকার এই নেটওয়ার্ক ভাঙতে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিকে (KUTA) নিষিদ্ধ করতে পারে।’
জানা যাচ্ছে, কাশ্মীরের এই সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের 'অনুপ্রবেশ'র ইতিহাস খুবই পুরানো। একসময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন রাফি ভাট। এখান থেকেই তিনি এখান পিএইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন। কিন্তু, ২০১৮ সালের ৬ মে, শোপিয়ান জেলায় এক এনকাউন্টারে চার জঙ্গির সাথে তিনিও নিহত হন। এই ঘটনার দু’দিন আগে রাফি ভাট, ফেসবুক একটি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে রাফি তার শিক্ষকতা ছেড়ে ছাত্রদের সঙ্গে অস্ত্র তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা কথা জানিয়েছিলন।
সূত্রের খবর, গত তিন দশক ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে একমাত্র বিতর্ক চলছে, কাশ্মীর স্বাধীন হবে নাকি পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়ে হবে। কেননা, এখানকার একটি অংশ ভারতের সঙ্গে থাকতে রাজি ছিল না। এছাড়া, কেন্দ্র এবং রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা উভয়ের কাছেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উগ্রপন্থীকরণের বিষয়ে অনেক তথ্যই মজুত রয়েছে জানা গেছে। একজন উচ্চপদস্ত গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আগে থেকে আমাদের কাছে অনেই ইনপুট (তথ্য) এসেছে। যখনই আমরা কোনও পদক্ষেপযোগ্য ইনপুট পেয়েছি তখনই আমরা তা করেছি।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন