সংসদে ১৪১ জন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে লোকসভার সচিবালয়। যেখানে বলা হয়েছে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা সংসদের চেম্বার, লবি এবং গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে এই প্রথম সংসদে এক অধিবেশনে ১৪১ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যার মধ্যে লোকসভার ৯৫ জন এবং রাজ্যসভার ৪৬ জন সাংসদ রয়েছেন। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।
ওই ঘটনার পরই লোকসভা থেকে একটি সার্কুলার পেশ করা হয়। যাতে বলা হয়, 'শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়ার সময় সাংসদরা যেসব প্রস্তাব উত্থাপিত করেছিলেন তা আর আলোচনা হবে না। এই অধিবেশন চলাকালীন কক্ষের ভিতর হওয়া ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তাঁরা। সংসদের লবি, গ্যালারি বা চেম্বারে তাঁরা শীতকালীন অধিবেশন পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবেন না'।
অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি চাইছে বিরোধীশূন্য অবস্থায় সংসদে একাধিক বিল পাশ করাতে। ইতিমধ্যেই ক্রিমিনাল ল বিল পেশ হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাখ্য অধিনিয়ম বিলও মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ করা হয়। বর্তমানে চালু থাকা কোড অফ ক্রিমিনাল প্রোসিডিওর অ্যাক্ট, ১৮৯৮, দ্য ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, ১৮৬০ এবং দ্য ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট, ১৮৭২-এর বদলে নতুন এই তিন আইনের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, 'সংসদে একনায়কতন্ত্র চলছে'।
রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, 'সাময়িক সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আমরা বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এর বিরুদ্ধে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করবো। আগামী ২২ ডিসেম্বর গোটা দেশজুড়ে বিজেপির স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন